বাবা রিক্সা চালিয়ে পড়ার খরচ যোগাতেন, চারবার পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আজ তিনি যেভাবে হলেন সরকারি আধিকারিক

সফলতা ভাগ্যের জোরে পাওয়া যায়না, সফলতা পাওয়ার জন্য অনুশীলন করার প্রয়োজন। বিলাসপুরের বিজয় কৈবর্তও ছত্রিশগড় পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় এইরকম সাফল্য পেয়েছেন।
অটোচালক কুলদীপ কৈবর্তের ছেলে বিজয় 21তম স্থান অধিকার করেছেন, এমনকি পড়ালেখা শেষ করার জন্য মানুষের জামাকাপড় সেলাই করতেন তিনি। আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তিনি তার টেলারিং এর কাজ এবং পড়াশোনা উভয় দিকই চালিয়ে যান এবং হাল না ছেড়ে তিনি এখন সহকারী কর কমিশনার পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার রেজাল্ট আসার পর তখতপুরে বসবাসকারী বিজয় যথারীতি কাপড় সেলাই করছিলেন এবং এরই মধ্যে তারা জানতে পারেন যে তারা সি.জি.পি.এস.সি পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে বিজয় জানান, টেলারিং এর কাজের পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন 5 ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। তিনবার তিনি পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য পাননি কিন্তু চতুর্থবারে তিনি সফলতা পান। তিনি বলেন, “কঠোর পরিশ্রমের কোনো শর্টকাট নেই।” তিনি আরো জানান, তিনি যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তেন তখন তিনি সেলাইয়ের কাজ শিখেছিলেন। তারপর তিনি গায়ত্রী জ্ঞান মন্দির থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বয়েজ হাই স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেন।
সেলাইয়ের কাজ শেখার পর তিনি একটি দোকানে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন এবং তার থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে তিনি নিজের পড়াশোনা চালাতেন। পড়াশোনায় মেধাবী হওয়ার কারণে তিনি অনেক বৃত্তি পান। তারপর তিনি সিভি রমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার বাবা তাকে বলেছিলেন, “সমাজে বেঁচে থাকতে গেলে যোগ্য মানুষ হও।” কুলদীপ বিজয়কে সবসময় ভালো শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেছেন, সমাজে বসবাস করতে গেলে একজন যোগ্য ব্যক্তি হয়ে ওঠা আগে দরকার। বাবাকে দেখেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং সেলাইয়ের কাজ শিখে তার পড়াশোনা চালিয়েছেন।
বিজয় জানান তার বাবা ছোটবেলা থেকে অটো চালাতেন। বাড়ির আর্থিক সীমাবদ্ধতা এমনই ছিল যে, তাকে পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করতে হতো। এই সময় তার বোন স্বাতী এবং ভগ্নিপতি বলরাম তাকে অনেক সাহায্য করেছেন।