বয়স যে শুধু একটা সংখ্যা মাত্র আরো একবার প্রমাণ করলেন ২য় বিবাহ বার্ষিকী পালন করে, দীপঙ্কর আর দোলন

আমাদের সমাজে একটা অদ্ভুত চিন্তাধারা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন মেয়েদের 18 পেরোলেই সংসারে মন দিতে হয়, বেশি বয়স হলে ভালো ছেলে পাওয়া যায় না। ছেলেদের ক্ষেত্রে যদিও এইসব কথা শোনা যায় না। কিন্তু 27 এর পর থেকে তাদেরও চাপ দেওয়া হয় বিয়ের জন্য। ভারতবর্ষ প্রজাতন্ত্র দেশ। একটা মেয়ে, ছেলের পুরোপুরি স্বাধীনতা রয়েছে বিয়ের মতো একটা এত বড়ো জিনিস নিয়ে নিজের ডিসিশন নেওয়ার। যদিও সবাইকে এই সুযোগ দেওয়া হয় না। আজ আমরা আপনাদের এমন দম্পতির কথা বলব যারা সমাজের এই চিন্তাভাবনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন।
আমরা কথা বলছি 77 বছর বয়সী দীপঙ্কর দে ও 50 বছর বয়সী দোলন রায়কে নিয়ে। এই দুজন তারকা টলিপাড়ার বিখ্যাত নাম। সম্প্রতি তাদের বিয়ের অ্যানিভার্সারি পালন করলেন তারা। বিয়ের আগে অবশ্য দীর্ঘ 25 বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তারা।
এখন তো অহরহ বহু তারকাদের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষেরাও এখন লিভ-ইন এ থাকছেন। কিন্তু আজ থেকে 25-30 বছর আগে লিভ-ইন সম্পর্কের ব্যাপারে ভারতে সেইভাবে কেউ জানতেনই না। আর এই ধরনের সম্পর্ককে সমাজ মানত না। এখনও অনেকে মানেন না। কিন্তু তখন অবস্থা আরও অন্যরকম ছিল।
কিন্তু তাও দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে এইসব কিছুকে নিজেদের সম্পর্ক ভাঙতে দেননি। তারা একে অপরের পাশে থেকেছেন এবং 25 বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর একে অপরকে বিয়েও করেছেন। দোলন রায় ও দীপঙ্কর সেনের বয়সের পার্থক্য তাদের ভালোবাসাকে এফেক্ট করেনি। লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে শুরু করে বিয়ে সবেতেই নেগেটিভ কমেন্ট সহ্য করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু তারা হার মানেননি।
নিজেদের আইনত বিয়ের 2 বছরের অ্যানিভার্সারিতে দোলন পরেছিলেন হলুদ শাড়ি ও তাকে সঙ্গ দিতে দীপঙ্কর দে পরেছিলেন একই রঙের টি-শার্ট। দোলন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে জানিয়েছেন ঈশ্বরের আদালতে 27 বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের, কিন্তু মানুষের আদালতে 2 বছরের। মানুষ তাদের ভালো বলুক আর খারাপ তারা সকলের মঙ্গল কামনাই করেছেন।