ফাঁ’সির আগে কি কি শে”ষ ইচ্ছে পূরণ করা হয় একজন আসামীর? জানলে অবাক হবেন

মৃ,ত্যু হল প্রকৃতির একটি খুবই কঠিন সত্য। এই পৃথিবীতে জন্মানো প্রতিটি প্রাণীকে একদিন না একদিন মৃত্যু বরণ করতেই হয়। গারুদ পুরান এ বলা হয় যে যখন কোনো মানুষের মৃত্যু নিকট আসে যমরাজ তাকে কিছু না কিছু সংকেত দেয়। যমরাজের দুজন দূত মৃত্যু নিকট মানুষদের কাছে আসে, শুধুমাত্র পাপী মানুষেরাই এই দূত-দের ভয় পান কিন্তু যে মানুষ তার জীবন কালে অনেক ভালো কাজ করেছেন তিনি মৃত্যুদূত-কে ভয় পান না, মৃত্যুর আগে তিনি একটি ঐশ্বরিক আলো দেখতে পান, যা হল তার পুণ্যের প্রতীক। কিছু লোকের মৃত্যু তাদের অপকর্মের জন্যও হয়, ঠিক যেমন জেলের কয়েদিদের ফাঁসি হয় তাদের কু-কাজের ভিত্তিতে | কিন্তু ফাঁসি দেওয়ার আগে আসামিদের শেষ ইচ্ছা পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়।
কিছু আ’সামি আসন্ন মৃ’ত্যু সং’কটে তাদের শে’ষ ইচ্ছা জাহির করতে পারে না, আবার এমনও কিছু আ”সামি থাকে যাদের শে’ষ ইচ্ছা শোনার পরে মতিভ্রম হওয়ার পরিস্থিতি গড়ে ওঠে। আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে একজন আসামী তার মৃত্যুর পূর্বে কি কি ইচ্ছা পূরণ করতে পারে!। আপনাদের তাহলে বলে দিই একজন আ’সামী তার মৃ”ত্যুর পূর্বে যে কোনো ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না। একমাত্র সেই ইচ্ছা গুলোকেই মানা হয় যেগু”লো আইনের গ’ণ্ডির মধ্যে পরে। যেমন ধরুন একজন আ”সামী যদি তার মৃত্যুর পূর্বে শেষ ইচ্ছা হিসেবে জীবন দান চায় তাহলে সে ইচ্ছা তো আর পুরন করা যায় না, আসুন আপনাদের জানাই এমন কোন কোন ইচ্ছা আছে যেগুলো মৃ”ত্যুর পূর্বে একজন আ’সামী দাবি করতে পারে।
কিছু আ”সামী মৃ”ত্যুর পূর্বে সুস্বাদু খাবার খেতে চায় কিছু আসামি আবার তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চায়। তাদের ইচ্ছাগু”লির একটি সীমিত প”রিসীমা নির্দিষ্ট করা হয়। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, যদি একজন বন্দীকে মৃ”ত্যুদন্ড দেয়া হয়, তবে তিনি উপরিউক্ত ইচ্ছাগু’লি ছাড়াও অন্য কিছু দা”বি করতে। প্রিয় খাদ্য এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার পাশাপাশি তার অন্য কিছু ইচ্ছাও পূরণ করা যেতে পারে। ধরুন যদি কোন বন্দী ফাঁ”সির আগে একটি ধর্মীয় বই পড়তে চায়, তাহলে তার ইচ্ছার প্রতি শ্র”দ্ধা করে ধর্মের বইটি তার কাছে প্রেরণ করা হয়।
বলা হয় যে একজন মৃ”ত্যু নিকট ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ করা হলে, পুণ্য লাভ হয়। সেই সময়ে একজন মৃ”ত্যু নিকট ব্যক্তি অপরাধী না নির্দোষ ব্যক্তি তা বি”চার করা হয় না। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃ”ত্যু নিকট ব্যক্তির সর্বশেষ ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়, এর ফলে মৃ”ত্যুর পর সেই ব্যক্তির আ”ত্মাও শান্তি পায় এবং নিজেদেরও কিছু পুণ্য লাভ হয় ।