প্রথাগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে গ্রামের মানুষদের জন্য এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করলেন এই আব্দুল করিম! তিনি এখন সবার আইকন

উত্তরপ্রদেশের দেওড়িয়া জেলায় বসবাসকারী আব্দুল করিমের জন্য ঐতিহ্যগত অধ্যয়ন সবসময় বোঝার বাইরে ছিল। কিন্তু তার সৃজনশীল প্রতিভার কোন অভাব ছিল না।
পড়াশোনার চেয়ে বেশি তার মেশিন এবং প্রযুক্তির প্রতি আবেগ বেশি ছিল। আব্দুল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম। জিনিসগুলোকে একসাথে যোগ করে নতুন কিছু তৈরি করা আমার কৌতূহল ছিল। শুরুতে যখন কাজ করতাম যখন বাড়িতে খুব বকাবকি করত এবং মাঝে মাঝে মা_রধর করতো।
কারণ, এইসব করতে করতে আমি অনেক ময়লা ছড়াতাম। তিনি বলেন, “মা ভাবতেন যে আমি পড়াশোনা করি না, সারাদিন আমি কি করি তিনি তা বুঝতে পারেতেন না এবং যখন সে ভাবলো যে আমি কোনো উন্নতি করতে পারব না, তখন সে আমাকে একটা আলাদা ঘর দিয়ে দেয়। কিন্তু আমি যখন কাজ শুরু করি তখন বাড়িতে থেকেও সমর্থন পেতে শুরু করি”।
আব্দুল করিমের ঘরটি কোন সায়েন্স ফিকশন ল্যাবের চেয়ে কম নয় এবং এই ঘরে বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবন করে আব্দুল গ্রামবাসীর জীবনকে সহজ করতে ব্যস্ত। এখনও পর্যন্ত তিনি অনেক কিছু আবিষ্কার করেছেন, যেমন- ডোর অ্যালার্ম সিস্টেম, প্ল্যান্ট ওয়াটারিং সিস্টেম ইত্যাদি।
গাছপালায় জল দেওয়ার ব্যবস্থার মাধ্যমে, আমরা গাছগুলিকে প্রয়োজন অনুসারে জল দিয়ে রক্ষা করি এছাড়াও জল সাশ্রয় হয়। তিনি বলেছিলেন, “প্রায়ই মানুষের বাড়িতে চুরি হয় এবং তারা জানে না যে বাড়িতে চোর এসেছে, বাড়ি থেকে দূরে থাকায় তারা কিছুই করতে পারেন না।
এমন পরিস্থিতিতে, এই ডিভাইসটি, যাকে ‘বার্গলার ইনফর্মার’ও বলা হয়, সেটি আপনার বাড়িতে ইন্সটল করা থাকলে আপনারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও আপনার ফোন নম্বরে আপনাকে অপরিচিত কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিহিত করে। যার জন্য আপনাকে এই ডিভাইসের মধ্যে আপনার ফোন নাম্বার দিতে হবে”।
এই ডিভাইসটি আবিষ্কারের জন্য তিনি অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। 2009 সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল তাকে সম্মানিত করেছিলেন। ভবিষ্যতে আব্দুল, বস্তির শিশুদের জন্য কাজ করতে চান এবং এই শিশুদের মেধাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চান।
তিনি বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমি স্কুল ও বস্তিতে বসবাসকারী শিশুদের কৌতুহল তুলে ধরতে চাই এবং আমি তাদের বলতে চাই যে, আপনি যা কিছু করতে পারেন বলে মনে করেন আপনি সেটাই করুন। আমি আপনাকে একটি ইতিবাচক মানসিকতার উপায় দেখাবো। আমি মেন্টরিং সেশনও শুরু করেছি, যেখানে আমরা বাচ্চাদেরকে শিখিয়েছি কিভাবে উদ্ভাবন এবং পণ্য তৈরি করতে হয়।”