পান বিক্রেতার মেয়ে কঠিন লড়াই দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলতে গিয়ে এই কাজটি করে যেভাবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলো

ইউ.পি-র বারাণসীর একটি ছোট গ্রামে বসবাসকারী সুনিতা ভরদ্বাজ জাতীয় সিনিয়র আর্চারি প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জিতেছেন। তিনি বড়াইপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা পান বিক্রি করেন। কন্যার সাফল্যের কারণে পরিবারে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সুনিতা ভরদ্বাজ ভারতীয় আর্চারি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি 12 জন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন ছিলেন। ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় 30 মিটার ভারতীয় রাউন্ডে সুনিতা প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক জিতেছেন।
সুনিতা এর আগেও অনেকবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং দুবার ব্রোঞ্জ জিতেছেন। তার বাবা জটাশংকর ভরদ্বাজের রাসনাথের মহাবোধি স্কুলের কাছে একটি পানের দোকান আছে। চার সন্তানের মধ্যে সুনীতা সবার ছোট।
12 বছর বয়স থেকে সুনিতা তীরন্দাজি করছেন এবং তার আবেগ দেখে তার বাবা হাজার টাকা মূল্যের একটি ভারতীয় গোলাকার তীর-ধনুক কিনে দিয়েছিলেন তাকে।
জুনিয়র খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিনিয়র পর্যায় পদক জিতেছেন। অন্যদিকে তার কোচ অশোক সিং বলেন,”সুনিতা খুবই পরিশ্রমি খেলোয়াড় এবং তিনি সুশৃংখল এবং বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন”।
ইউ.পি থেকে তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এবার পদক পেয়েছেন। সুনিতার মত মেয়েরা আমাদের যুবসমাজ, প্রধানত মেয়েদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা।