পরিবেশ দূষণ আটকাতে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যাবহার রুখতে বিহার নিলো এই অভিনব উদ্যোগ

ভারতে অনেক আগে থেকেই প্লাস্টিকের ব্যবহারে ব্যান লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আগে একবার প্লাস্টিকের ব্যবহারের ওপর পুর্ণরূপে ব্যান করা হয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন কার্যকর হয়নি। যে কারণে এই ব্যান তুলে নেয়া হয়। গত 15 ই ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্লাস্টিক ও থার্মোকলের যেকোনো জিনিস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের তৈরি জিনিসের পরিমাণ কমে এসেছে। ফলে বিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই মার্কেটে লঞ্চ হতে চলেছে।
এখন অনেক জায়গায় সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে কলার পাতায় তৈরি থালা, বাটি ও গ্লাসে খাবার পরিবেশন করা হয়। এমনকি অনেক রেস্তোরাঁতেও এখন মাটি ও কাগজের জিনিস এ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের তৈরি জিনিসের বদলে এই ধরনের জিনিস পরিবেশবান্ধব এবং নতুন উপার্জনের পথও। বর্তমানে ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যা থেকে পত্তল-ডোনা আনানো হচ্ছে যা দামে কম। আপনাদের জানিয়ে রাখি আমাদের দেশে বনস্পতি থেকে পত্তল-ডোনা তৈরির পরম্পরা বহু পুরোনো।
সভ্যতার পাশাপাশি নতুন টেকনোলজি আসার সাথে সাথে এইসব পরম্পরা পিছনে চলে গেছে। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কারণে এই পরম্পরা আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ধরনের গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু আমরা মাত্র তিন ধরনের পাতাই ব্যবহার করে থাকি। যার মধ্যে থেকে সবথেকে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করি কলা গাছের পাতা। বলা হয়ে থাকে কলার পাতায় খেলে পিতলের পাত্রে খাওয়ার সমান পুণ্য ও আরোগ্য লাভ হয়।
এই কলার পাতা আমাদের বিভিন্ন পুজোতেও কাজে লাগে। এখন অনেকেই কলার পাতা দিয়ে থালা, বাটি, গ্লাস ইত্যাদি বানানোকে নিজেদের পেশা করে ফেলেছেন। আপনারা চাইলে যেকোন ছোট ঘরে বাসন তৈরি করার মেশিন লাগিয়ে কলা পাতার মাধ্যমে বিভিন্ন বাসন তৈরি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি চাইলে মেশিনের সাহায্য না নিয়ে এই জিনিস বানাতে পারেন। কিন্তু একটি মেশিনের সাহায্য নিলে আপনার কাজ আরও দ্রুততার সাথে শেষ হবে।