“দ্য চায়েবালি” নামে খ্যাত গুজরাটের এই মেয়েটি, চা বিক্রি করে রোজগার করেন এত টাকা।

রাজকোটের নিশা হোসেন পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে “দ্য চায়ল্যান্ড” শুরু করেন। আজ এই শখ থেকে মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন হয় তার। একবিংশ শতাব্দীতে এসে মেয়েরা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। নিজেদের শখকেই অনেকে পেশা বানাচ্ছে। এমনই একজন হলেন নিশা হোসেন। আসুন জেনে নিই তার ব্যাপারে- নিশা কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি ছেড়ে “দ্য চায়ল্যান্ড” নামের টী ক্যাফে খোলেন।
গত 4 বছরে তার হাতের চা এত বিখ্যাত হয়ে গেছে যে রাজকোটে তাকে “দ্য চায়বালি” বলে ডাকা হয়। তার টী ক্যাফে তে 10 আলাদা রকমের চা বিক্রি হয়। নিজের কঠোর পরিশ্রমের কারণে আজ তিনি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। এক ইন্টারভিউতে তিনি জানান কোন কাজই ছোট হয় না, শুধু সেই কাজটা করার জন্য সাহস, শখ আর সেই কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন। তার এই ব্যবসা রমরমিয়ে চললেও ক’রো’না’কা’লী’ন অবস্থায় লকডাউন এর কারণে বহুদিন বন্ধ ছিল।
তবুও তিনি হার মানেননি। দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর তিনি রাজকোটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন। কিন্তু তার সেই কাজ ভালো লাগতো না। এরপর তিনি নিজের বিজনেস করার কথা ভাবেন। কিন্তু বিজনেস করার মতো পুঁজি তার কাছে ছিল না। তিনি জানতেন না কী বিজনেস করবেন। তিনি আরও বলেন তার বান্ধবী থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী প্রত্যেকেই তার হাতের চা খেতে ভালোবাসতো। যেকোনো অনুষ্ঠানে সবাই তার হাতের চায়ের জন্য বায়না করত।
এমনই এক অনুষ্ঠানে তার মনে হয় চায়ের ক্যাফে খোলার কথা। এরপর 2018 সালে নিজের চাকরি থেকে উপার্জন করা 25000 টাকা নিশা চায়ের ব্যবসায় লাগিয়ে দেন। যদিও সেই সময় তার পরিবারের কেউ তাকে সাপোর্ট করেনি। নিশার বই পড়তে ভালো লাগে তাই সে চায়ের ক্যাফেতে বইও রাখত। প্রথমদিকে সে পুদিনা পাতা, আদা, দারচিনি প্রভৃতি ফ্লেভারের চা বানাতো। পরে এর সাথে আরও সাত রকমের চা অ্যাড করেন। ক’রো’নার দ্বিতীয় ঢেউতে তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি থেমে থাকেননি। আর আজ তার ব্যবসার প্রশংসা লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।