দাদার মৃত্যুর পর ভাইজির জন্ম দিনে যে কারণে বিধবা বৌদিকে বিয়ে করলেন দেওর, জানলে অবাক হবেন

ভারতীয় সংস্কৃতি ও হিন্দু ধর্ম মতে স্বামী অথবা স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে করা সামাজিক, পারিবারিক ও ধার্মিক ভাবে মানা হয় না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রী ডিভোর্স নিয়ে আলাদা হয়ে যান। মানুষ ভাগ্যের কাছে বহুবার অসহায় হয়ে পড়ে। আজ আমরা আপনাদের এক দেওর-বৌদির কথা বলব। যাঁরা সম্প্রতি গাঁটছড়া বেঁধেছেন।

ঘটনাটি শোনার পর হয়তো অনেকেই এই দেওর-বৌদির জুটিকে চিনতে পারবেন। আজকে আমরা আপনাদের মধ্যপ্রদেশের শিবপুরের বাসিন্দা স্বপ্না ও রাজবীরের কথা বলব। জানিয়ে রাখি স্বপ্না একজন বিখ্যাত ইউটিউবার। তাঁর চ্যানেলের নাম “স্ন্যাপি গার্লস”। স্বপ্নার প্রথম বিয়ে হয়েছিল সুরজ-এর সাথে। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে নববধূ বেশে সুরজের সাথে সংসার শুরু করেছিলেন স্বপ্না।

কিন্তু তিনি জানতেন না তাঁর এই স্বপ্ন মাত্র কয়েকবছরের। এই পুরো ঘটনা মধ্যপ্রদেশের শিবপুরের নবাব সাহেব রোডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অশোক চৌধুরীর বাড়ির। অশোক চৌধুরীর দুই ছেলে- সুরজ ও রাজবীর। সুরজ 2018 সালে ফতেপুরের স্বপ্নাকে বিয়ে করেন। কিন্তু কো’রো’না আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা যান তিনি। তাঁদের এক মেয়েও আছে।

এরপর থেকে সুরজের পরিবারের সকলে স্বপ্না-কে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা স্বপ্নাকে কষ্টে দেখতে পারছিলেন না। তাঁরা চাইছিলেন স্বপ্নার বিয়ে দিতে। কিন্তু অল্প সময়েই স্বপ্না তাঁদের নিজের মেয়ের মতো হয়ে যাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে থাকার কথাও ভাবতে পারছিলেন না। এমনই সময়ে দাদার মৃত্যুর পর থেকে তাঁর সন্তান ও স্ত্রীয়ের দায়িত্ব ধীরে ধীরে রাজবীর নিয়ে নেন।

কিন্তু এইভাবে বেশিদিন যে সম্ভব নয়, তা অশোকবাবু ও তাঁর স্ত্রী বুঝতে পারছিলেন। কারণ ছোটো ছেলেরও এক না একদিন নিজের সংসার হবে তারপর থেকে কোনোমতেই দাদার সংসারের দায়িত্ব সামলানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই তাঁরা স্বপ্না ও রাজবীরের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম দিকে স্বপ্না রাজি না থাকলেও মেয়ের দিকে তাকিয়ে ও পরিবারের বোঝানোতে রাজি হয়ে যান।

গত 17 ই ডিসেম্বর তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধেন। তাঁদের বিয়ের ভ্লগও তাঁর চ্যানেলে আপলোড করেছেন তিনি। আপনারা চাইলে দেখতে পারেন। স্বপ্না যেখানকার বউ সেখানে বাড়ির বউরা গলা পর্যন্ত ঘোমটা দিয়ে থাকেন। কিন্তু স্বপ্নার শ্বশুর-শাশুড়ি প্রমাণ করে দিলেন আধুনিক চিন্তাভাবনা আধুনিক পোশাকের সাথে যুক্ত নয়। একমাথা ঘোমটা নিয়েও আধুনিক হওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মতামত আমাদের জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button