তার প্রতিবন্ধকতাকে লোকে উপহাস করতো, তবু নিজেকে না দমিয়ে , আজ তিনি যেভাবে IAS অফিসার হলেন

মানুষ যদি তার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করে তবে তারা কখনো হার মানেন না। দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি নিয়ে মানুষ লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে গেলে সে পথে আসা বাঁধাগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা এগিয়ে যেতে পারে। আজ তেমনই একজন আই.এ.এস অফিসার এর কথা আমরা বলব, যিনি একজন প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও নিজের জীবনে আসা বাঁধাগুলোকে পেরিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছেন।
ইরা সিংহাল একজন প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও 2014 সালে সর্বভারতীয় ইউ.পি.এস.সি টপার হয়েছেন। ইরার বাড়ি ইউ.পি-র মিরাটে। অল্প বয়সেই তিনি আই.এ.এস হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। নিজের অনেক সাক্ষাৎকারে ইরা উল্লেখ করেছেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন এবং সেই সময় যখন তিনি আই.এ.এস হওয়ার কথা মানুষকে বলতেন, তখন তারা তাকে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ার জন্য হাসি ঠাট্টা করত।
লোকেরা তাকে বলতো যে, সে ভালোভাবে হাঁটতে পারে না তাহলে সে কিভাবে আই.এ.এস অফিসার হবে। এই কঠিন সময়গুলি তিনি অনেক মনোবল নিয়ে মোকাবিলা করেছেন এবং পড়াশোনাকে তার অস্ত্র বানিয়েছিলেন। বি.টেক শেষ করার পর এম.বি.এ করেন তিনি। তারপরে কোকোকোলা, ক্যাডবেরির মতন বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি তার লক্ষ্য থেকে কখনো পিছু হটেননি। নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন আই.এ.এস অফিসার হওয়ার জন্য। 2010 সালে তিনি প্রথম ইউ.পি.এস.সি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবং ‘সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে’ যান। যেখানে তার পক্ষে রায় দেওয়া হয় এবং কঠোর সংগ্রামের পরে 2014 সালে হায়দ্রাবাদে একটি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট পান। সে সফল হলেও তার মনে অন্য কথা চলছিলো। তিনি আবারও 2014 সালে ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেন এবং সাধারন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় হয়ে তার পরিবার এবং এলাকার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি দেশের একজন সুপরিচিত আই.এ.এস অফিসার এবং বিভিন্ন ফোরামে সে অনেক সম্মানিত হয়েছেন।