জঞ্জাল থেকে উপার্জন! যে উপায়ে কলার স্টেম দিয়ে ফাইবারের কাজ করে এই ২৫ বছরের তরুণী বহু নারীকে এখন কর্ম সংস্থান দিচ্ছে।

বিহারের হাজিপুরের মহিলারা দেশের সেরা মানের কলা চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানকার মহিলারা শুধু কলা চাষের জন্যই নয়, কলার ডালপালা থেকে আঁশ আহরণে দারুন কাজ করছেন। এই কাজে তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈশালী প্রিয়া, যিনি একজন ফ্যাশন উদ্যোক্তা। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 25 বছর বয়সী বৈশালী এখান থেকে পাওয়া ফাইবার ইউরোপের টেক্সটাইল এবং আনুষাঙ্গিক বাজারে নিয়ে যাচ্ছে এবং এই কাজের মাধ্যমে তিনি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের ক্লাসও নিচ্ছেন।
বৈশালী ‘সুরাময়ী কলা আহরণ প্রকল্প’ চালু করেছে। এর মাধ্যমে, তিনি জৈব এবং প্রাকৃতিক পণ্য থেকে ফাইবার আহরণের ক্ষমতা প্রচার করছেন। স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রও এই প্রকল্পে সাহায্য করছে তাকে এবং বর্তমানে বৈশালী 30 জন মহিলাকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। আজ মানুষ দিনদিন এই কাজের সাথে যোগ দিচ্ছে।
এই কাজের মধ্যে অনেক প্রক্রিয়া জড়িত, যেমন- ভেজানো, ধুলো দেওয়া, বাঁধা প্রভৃতি। বৈশালী বলেন, “এই মহিলা এবং অন্যান্য সদস্যদের কলাগাছ থেকে বের করা চূড়ান্ত কাঁচামাল থেকে পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আসলে, কলা ফাইবার বিভিন্ন ওজন এবং পুরুত্বসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কলার কাণ্ডের কোন অংশের উপর নির্ভর করে ফাইবার বের করা হয় এবং প্রায় 5-6 কিলোগ্রাম কলার আঁশ বের করা যায় এবং আমরা ছোটবেলা থেকেই জানতাম যে, আমার ছোট শহর হাজিপুর কলা উৎপাদনকারীর মধ্যে একটি এবং কলার ফসল কাটার পরে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য তৈরি হয়।” তারপরে তিনি নিজের ধারণা দিয়ে বর্জ্যকে অর্থে রূপান্তর করেছিলেন এবং এটাই উন্নয়ন। বৈশালীর মতন মেয়েরা যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা।