ছেলে দেখতে বাজে গায়ের রং কালো,তবু কারো কথা না শুনে বিয়ের পিড়িতে বসল এই ইউরোপিয়ান সুন্দরী, পুরোটা পড়লে চোখে জল এসে যাবে

হরিয়ানার ভিয়ানিতে বসবাসরত একজন লোক সম্প্রতি একজন বিদেশী নারীকে বিয়ে করেছেন। এই লোকটি তার গ্রামে এই বিয়ে করেছে এবং গ্রামে এই লোকটির স্ত্রীকে দেখার জন্য খুবই ভিড়। কারণ গ্রামের প্রত্যেক সদস্যই অমিতের প্রেমিকা কে দেখতে চেয়েছিলেন। বলা হচ্ছে যে গ্রামবাসীরা যখন অমিতের প্রেমিকা অর্থাৎ বিদেশী মেম সাহেবের আসার কথা শুনে তখনই প্রত্যেক গ্রামবাসী অমিতের প্রেমিকাকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে।

হিন্দু রীতি নীতি অনুযায়ী করলো বিবাহ:-অমিত এবং এলেনা একে অপরের সাথে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাদের পরিবারজনকে জানায়। অমিতের পরিবার যখন জানতে পারে যে সে একজন বিদেশীর সাথে বিবাহ করতে চলেছে তখন তার পরিবার জনরা খুবই খুশি হয়। অন্য দিকে এলেনার পরিবার জনরাও এই বিবাহের জন্য রাজি হয়ে যায়। এর পরে এলেনা তার পরিবার সহ অমিতের গ্রামে আসে এবং মঙ্গলবার দিন হিন্দু রীতি নীতি অনুযায়ী বিবাহ করে। এই বিবাহ দেখার জন্য গ্রামবাসীরা খুবই উৎসুক হয়ে যায় এবং প্রত্যেকে নজর শুধুমাত্র এলেনার উপর থাকে। অন্যদিকে অমিতের সঙ্গে বিবাহ করার পর এলেনা এখন হিন্দি ভাষা শিখছে। যাতে সে তার পরিবার ও সকলের সাথে এই ভাষাতে কথা বলতে পারে।

অসংখ্য ফটো তুললেন:-গ্রামের বাচ্চারা এবং মহিলারা এলেনার সাথে অসংখ্য ফটো তুললেন। অন্যদিকে অমিতের ঘরে ফেরার পর এলেনা ভারতীয় পোশাক পরিচ্ছদ কে গ্রহণ করে এবং তাকে শাড়িতে ও দেখা যায়। এলেনার পরিবার জনরাও এই বিবাহতে উপস্থিত হওয়ার জন্য হরিয়ানাতে আসে এবং তারাও এই বিবাহতে যোগদান করে।

পিতা একজন স্কুল শিক্ষক:-অমিতের পিতা পন্ডিত হরিওম শাস্ত্রী একজন সরকারি স্কুলে বাচ্চাদের পড়িয়ে থাকেন এবং তিনি একজন সংস্কৃত অধ্যাপক। অমিতের একটি ভাই ও আছে। অমিতের পরিবার অনুযায়ী অমিত তার পড়াশোনা তার গ্রামের এক স্কুলে করে। এবং তারপরে অ্যাকাউন্টান্সি তে মাস্টার ডিগ্রি করে এবং এই ডিগ্রি করার পর তিনি ইউরোপ কাজের জন্য চলে যান।

ইউরোপে হয় এলেনার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ:-ইউরোপে যাওয়ার পর, অমিত এলেনাকে দেখেছিলেন, এবং এলেনা গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অমিত ও এলেনা গত চার বছর ধরে বন্ধু ছিল এবং চার বছর পর তারা একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। একই সাথে, তারা এই বিবাহের করার জন্য ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এলেনা সঙ্গে তার পরিবার জনরাও তার খুশির মুহূর্তে উপস্থিত থাকার জন্য তার সঙ্গে অমিতের গ্রামে আসে এবং তারা তার বিবাহতে খুবই মজা করে। এলেনার পিতা একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি ইউরোপে ব্যবসা করে। এলেনার একজন ভাইও আছে যে কিনা দূতাবাসে চাকরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button