ছাগলের দুধের কতটা উপকারিতা জানলে অবাক হবেন, জানুন এক্ষুনি

ভারতের অনেক গ্রামগুলিতে, গরুর দুধ থেকে ছাগল দুধ বেশি পছন্দ করে। এবং ভারতে ছাগল দুধের জন্য যথেষ্ট প্রশংসাও আছে এবং তারা সবাই দাবি করে যে হার্টের জন্য এটি খুব ভাল। বিশ্বের প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ এলাকায় ছাগলের দুধ ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধ জনপ্রিয় হলেও বিশ্বব্যাপী ছাগল ও ছাগলের দুধের ব্যবহার খুবই ব্যাপক।

শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হলে তবে নিশ্চিন্তে ছাগলের দুধ খেতে পারেন। ছাগলের দুধ ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম হলেও প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের বেশি রয়েছে। এক গ্লাস ছাগলের দুধে রয়েছে প্রায় ১৭০ ক্যালরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন, ২৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ১১ গ্রাম কার্বন এবং ৬ গ্রাম চর্বি। এছাড়াও সিলেনিয়াম, জিং, তামা, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফেলভিন এবং ভিটামিন এ, বি ২, সি এবং ডি রয়েছে।

ছাগল দুধের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। পুষ্টির দিকটা বিবেচনা করলেও দেখা যাবে, গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধের রয়েছে অনেক বেশি উপকারিতা।

১) ছাগলের দুধ হজম করা যায় সহজেই

খাদ্য গ্রহণের পর যে জিনিসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এ খাদ্য সবচে’ দ্রুততার সঙ্গে হজম করতে পারে সে বিষয়টি খেয়াল রাখা। গরুর দুধের তুলনায় সহজেই হজম হয় ছাগলের দুধ। গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধের প্রোটিনও বেশি। হজম করা অনেক সহজ। ছাগলের দুধের চর্বির দানা গরুর দুধের তুলনায় প্রায় অর্ধেক এবং এতে আছে উঁচুমাত্রার মিডিয়াম শৃঙ্খল ফ্যাটি এসিড। এ ধরনের ফ্যাটি এসিড শরীরের জন্য ভালো।

২) হার্ট ভালো রাখে:- কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকায় ছাগলের দুধ হার্টের জন্য বেশ উপকারি।

৪) ছাগলের দুধে এলার্জি প্রবণতা কম:-গরুর দুধ যে বাচ্চাদের সবচাইতে বেশি এলার্জি ঘটায়। গরুর দুধের প্রতি শিশুদের এলার্জি নিয়ে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৯৩ ভাগ শিশু ছাগলের দুধ খেতে পারে কোনরকম এলার্জি প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

৫) ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ:- গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধ বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম আপনার হাড়ের জন্য ভাল।

৩) ছাগলের দুধের পুষ্টিগুণ মায়ের দুধের কাছাকাছি:- গবেষণায় জানা যায় ছাগলের দুধের পুষ্টিগুণ মায়ের দুধের কাছাকাছি। কারণ, শিশু খাদ্য হিসেবে ছাগলের দুধের ফর্মুলা গরুর দুধের পরিপূর্ণ বিকল্প হলেও একজন শিশুর চাহিদা বা প্রয়োজন একজন বয়স্ক লোক কিংবা একজন বালকের তুলনায় ভিন্ন।একটি শিশুকে যদি একমাত্র খাবার হিসেবে কেবল ছাগলের দুধ দেয়া হয়, তাহলে এর মধ্যে বিদ্যমান প্রোটিনকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুর নবগঠিত কিডনীর জন্যে দুষ্পাচ্য মাত্রার প্রোটিন নেই।

৬) ত্বকের যত্নে ছাগলের দুধ:- ত্বকের যত্নে এই দুধ অনেক বেশি উপকারী। ছাগলের দুধে ভিটামিন এ রয়েছে যার ফলে আপনার ত্বক মসৃণ এবং সুস্থ করে তোলে।

৭) ছাগলের দুধ ‘ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা’:-ছাগলের দুধে ল্যাকটোজ থাকলেও গরুর দুধের তুলনায় কম এবং এর ল্যাকটোস অসহিষ্ণুতাও অনেক কম। ছাগলের দুধের অধিক ”হজমশীলতার” জন্যই এমনটা হয়ে থাকে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। ছাগলের দুধ সহজে হজম হওয়ায় সহজে বিপাক ঘটে এবং তা বেশিক্ষণ অন্ত্রে অবস্থান করে না।

এছাড়াও, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। এই শাস্ত্রের অনেক চিকিৎসকের মতে, ছাগলের দুধ সহজপাচ্য, তাই জ্বর আক্রান্ত রোগীরা সহজেই এটি হজম করতে পারে। এ ছাড়া ছাগলের দুধ ডেঙ্গু প্রতিরোধেও কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button