চারবারে বিধায়ক হয়েও নিজের জন্য একটা পাকা বাড়ি বানাতে পারলেন না, সাদা মাটা জীবনেই মানুষের সেবা করতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন

বিধায়ক মানেই আমরা জানি বড় গাড়ি এবং বড় বাড়ি। তবে আশেপাশের সব কোটিপতি বিধায়ক এর মধ্যে একজন আছেন যিনি খুবই বেমানান। জীবন যাত্রার মান অন্যদের থেকে অনেকটাই অনুন্নত। যেখানে অন্য বিধায়কদের চারতলা পাচতলা বাড়ি রয়েছে, সেখানে তার এক খানা পাকা বাড়ি পর্যন্ত নেই। তিনি চাষাবাদ করে দিন গুজরান করেন।

তবে দিনের শেষে মাথা উঁচু করে বাঁচেন তিনি। তার কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও আছে সততা। জনপ্রতিনিধি বলতে তিনি বোঝান, মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি মানে কোন বিরাট বাড়ি দামি গাড়ির মালিক হওয়া নয়। তাই দুর্নীতিতে ভরা ভারতীয় রাজনীতির মধ্যে একজন রয়েছে যিনি সততার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মানুষের কাছে মানুষের মাঝে তার জায়গা অনেকটা উঁচুতে।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলে তার কথা জানতে পেরেছে। বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর এলাকা থেকে তিনি চারবার বিধায়ক হয়েছেন। তার নাম মেহেবুব আলম। চারবার বিধায়ক হবার পরেও তার কাছে একটা পাকা বাড়ি পর্যন্ত নেই। কোথাও যেতে গেলে তিনি হেঁটেই যাতায়াত করেন। তিনি জনপ্রতিনিধি। মানুষের হয়ে কাজ করাটাই তার আসল উদ্দেশ্য। মেহেবুব আলম সিবিআই এর বিধায়ক। তিনি বিহারের অহংকার এবং গর্ব।

ভাকপামালের টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বলরামপুর থেকে ৫৩ হাজারের বেশি ভোটে জিতে ছিলেন এই বিধায়ক। এবার বিহার নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন এই প্রার্থী।৪৪ বছর বয়সী ক্লাস টেন প্লাস। চাষবাস করে তার জীবন কাটে।নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা সম্পত্তির পরিমাণ এর জায়গায় তিনি শূন্য লিখেছেন। সত্যি তা সম্প্রতি বলে কিছু নেই।

একহারা কাঁচা বাড়ি তার চাষের কিছু জমি। জমানো অর্থ বলে কিছুই নেই। তিনি এদেশের রাজনীতিবিদ, তাহলে কেন তার এমন অবস্থা। মেহেবুব আলম এর মত মানুষেরা দেশবাসীকে বিশ্বাস আর ভরসা জুগিয়ে চলেছেন রাজনীতির দিকে।রাজনীতিতে পা রাখলেই দুর্নীতির সাগরে ডুবে যাওয়া টা নিতান্তই অজুহাত ছাড়া আর কিছু নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। চারপাশে কাদা থাকলেও তার মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায়, এটাই আমাদের শিখিয়ে দিচ্ছে মেহেবুব আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button