গর্ভনিরোধক ওষুধের প্রচারে গিয়ে নুসরাতকে ইঙ্গিত করে অবৈধ সন্তানের মা না হওয়ার সকলের উদ্দেশ্যে নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে যায় স্বস্তিকা

সম্প্রতি ছেলেকে নিয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন নুসরত জাহান। পিতার পরিচয় নিয়ে যতই জলঘোলা হোক না কেন সকলেই বুঝতে পেরেছেন, নবজাতকের পিতার পরিচয় কি। গর্ভাবস্থায় ভালো বন্ধুর মতো নুসরাতের পাশে থাকা শুধুমাত্র নয়, তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছেন যশ দাশগুপ্ত। অভিনেত্রী ছেলের নাম রেখেছেন ঈশান, যা অনেকটাই যশ দাশগুপ্তের নামের সঙ্গে মিল রয়েছে।
সম্প্রতি গর্ভনিরোধক বিজ্ঞাপনে নুসরাত জাহানকে দেখতে পাওয়ার পর সকলেই তাকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন। কিন্তু সে সব এখন অতীত। এবারে কিভাবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তকে উপহাসের সম্মুখীন হতে হলো। স্বস্তিকা দত্ত সম্প্রতি গর্ভনিরোধক বিজ্ঞাপন এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। অবৈধভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃত গর্ভাবস্থা আটকানোর জন্য এই ওষুধ খেতে বলা হয় সকল নারীকে।
কিন্তু একজন অবিবাহিত নারী হয়ে কেন এই বিজ্ঞাপনে মুখ দেখালেন স্বস্তিকা দত্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি একই নুসরাত জাহানের পথেই হাঁটতে চান? আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে তাকে আঘাত করতে ছাড়েননি।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছেন, গর্ভনিরোধক ওষুধ নিয়ে কথা বলতে গেলে কি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় না। নায়িকাদের হাত ধরে এই বার্তা সকলের কাছে খুব সহজে পৌঁছে যায় তাই নায়িকাদের বেছে নেওয়া হয় এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এর বেশি আর কিছু নয়।
কিছুদিন আগেই নুসরাত জাহানকে একটি ফেসবুক লাইভে যখন অপ্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি সকলের সামনেই বলে ওঠেন, এখনো মানুষের মানসিকতা অনেকটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। যেভাবে আমাদের অপমান করা হয়, তার ফলে এটাই প্রমাণিত হয় যে এখনো আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা দায়িত্বে ছিলেন সুদেষ্ণা রায়, তিনিও একই মত পোষণ করেছিলেন অভিনেত্রীর সাথে।