কলেজের সিকিউরিটি গার্ডের বাইক পুড়ে যাওয়াতে ওই কলেজের ছাত্ররা যা করলো জানলে অবাক হবেন

বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বত্র নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি রয়েছে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে একজন সুরেন্দ্র শাহু। সুরেন্দ্র থাকেন পাশের গ্রামে। একদিন সুরেন্দ্র ফোন পেলেন যে তার বাইকটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এই কথা শুনে সুরেন্দ্র খুবই দুঃখিত হলেন এবং সুরেন্দ্র সেখানে পৌঁছে দেখেন তার বাইকটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। বাইকে স্পার্কের কারণে এই ঘটনা ঘটে।

এরপর তিনি খুব হতাশ হয়ে যান। তিনি বলেন দু’বছর ধরে তার উপার্জন থেকে সাশ্রয় করার পর তিনি এই বাইকটি কিনেছিলেন যে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। বাইকটি পুড়ে যাওয়ার জন্য খুবই হতাশ হয়ে যান। এই বাইকটি তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ তার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় 12 কিলোমিটার দূরে এবং বাইক কেনার আগে কিনে সাইকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিষয়টি জানতে পেরে সমস্ত ছাত্ররা সুরেন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য মনস্থির করে। তারা ভাবেন, কেন সুরেন্দ্রকে নতুন বাইক কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া যেতেই পারে। সুরেন্দ্রকে সাহায্য করতে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ছাত্র-ছাত্রীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে মাত্র 2 ঘণ্টার মধ্যে 40,000 টাকা সংগ্রহ করে। এই 40,000 টাকা দিয়ে নতুন বাইক কেনা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টুডেন্টস বার অ্যাসোসিয়েশন’ এর সদস্যরা বলেছেন এই ক্যাম্পেইনে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তরিকভাবে সাহায্য করেছে। তারা বলেন, “আমরা সবাই শুনে, সুরেশকে হতাশ না হওয়ার জন্য বলেছি। আমরা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবো”। টাকা পাওয়ার পর সুরেন্দ্র সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এদের কারণেই আমি অনেক কষ্টে বের হতে পেরেছি, 2 বছর পরিশ্রমের পর এই বাইকটি কিনেছিলাম”।

সুরেন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও গিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা এই কাজ থেকে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যে, মানুষই মানুষের জন্য উপকারী এবং এই ইতিবাচক কাজটি অবশ্যই পুরো সমাজের জন্য একটি উদাহরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button