এক সময় সংসার চালানোর মত পয়সা ছিলো না, আজ ইনি যে পদ্ধতিতে চাষ করে ১ কোটি টাকার বেশি বছরে উপার্জন করে

রাজস্থানের একজন বিখ্যাত লোকের নাম খেমারাম। কিছু বছর আগে পর্যন্ত তাঁকে চিনতেন না কেউ। কিন্তু আজ সারা বিশ্বের কাছে তিনি পরিচিত এবং বিখ্যাত। ইজরায়েলের আদলে কিছু বছর আগে তিনি অভিনব ভাবে কৃষি প্রক্রিয়া করে দেখিয়েছিলেন সকলকে। শিশির বিন্দু দিয়ে কিভাবে কৃষি কাজ করা যায় তা দেখেছিলেন সকলকে। ২০১২ সালে তিনি ভারতবর্ষের তরফ থেকে ইজরাইলে যাবার সুযোগ পেয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি শিশির দিয়ে সেচ প্রক্রিয়া শিখে এসেছিলেন।
যখন তিনি ভারতবর্ষে ফিরে এসেছিলেন তখন তার কাছে সম্পদ বলে কিছু ছিল না। পরবর্তী সময়ে তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমে চার হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে প্রথম শশা উৎপন্ন করা হয়েছিল। সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কৃষি বলেন, একটি পলি খামার তৈরি করতে আমার ৩৩ লক্ষ টাকার দরকার ছিল, যেখানে আমি নয় লক্ষ টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম। বাকি টাকা আমি ভর্তুকি নিয়েছিলাম সরকার থেকে। তবে প্রথমবার ফসল উৎপন্ন করে আমি ১২ লক্ষ টাকা আয় করতে পেরেছিলাম। এটাই আমার কাছে প্রথম প্রাপ্তি।
এরপর চাষ করে আমি খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছিলাম। আজ আমার কাছে পলি হাউস ত্রিশ হাজার বর্গমিটারে বিদ্যমান। এর বাইরে, খেমকারামের নিজস্ব ৭ টি পলি হাউস, ২ টি পুকুর, 4 হাজার বর্গ মিটারে ফ্যান প্যাড এবং ৪০ কিলোওয়াট সোলার প্যানেল রয়েছে। এর সাথে আরও অনেক কৃষক তাদের দেখার পর এই কৌশল অবলম্বন করছে।
আজ যে জায়গায় খেমারাম দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। ইতিমধ্যেই খেমারাম বিভিন্ন ফোরামে সম্মানিত হয়েছেন। ২০১৫ সালে, ক্যান্টালুপে তার ভালো উৎপাদনের জন্য তাকে মাহিন্দ্রা জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে।