এক পরিবারের পাঁচ ভাইকে একসাথে বিয়ে করেছেন এই মহিলা , কারণ জানলে চমকে যাবেন।

মহাভারতের দ্রৌপদীর কথা তো কমবেশি সকলেই জানেন। কি কারণে দ্রৌপদীকে পাঁচ পাণ্ডব ভাইদের স্ত্রী হতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে যদি এরকম ঘটনা ঘটে যে কোনো মেয়েকে একসাথে পাঁচ ভাইকে বিয়ে করতে হয়েছে, তাহলে আপনি নিশ্চয় অবাক হবেন। কিন্তু সত্যিই উত্তরাঞ্চলের একটি মেয়ের সাথে এমন ঘটনায় ঘটেছে। আপনার হয়তো এই কথা শুনে আজব লাগছে, কিন্তু এই মেয়েটিরও দ্রৌপদীর মতোই এমন কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল যে তাকে একই পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের সাথে বিয়ে করতে হয়। আসুন আপনাদের সাথে এই যুগ অর্থাৎ কলিযুগের দ্রৌপদীর পরিচয় করিয়ে দিই এবং জেনে নিই কি কারণে মেয়েটিকে এমন কাজ করতে হয়।

আমরা যে মেয়েটির কথা বলছি সে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা, নাম রাজো। ২১ বছর বয়সী রাজোকে বিয়ে করতে একই পরিবারের পাঁচ ভাইকে, এমত অবস্থায় সব ভাইয়ের সাথে তাকে একইরকম ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ সামাজিকভাবে স্ত্রী হওয়ার কারণে পাঁচ ভাইয়ের সাথেই শারীরিক সম্বন্ধ করতে হয়। এইভাবে থাকতে থাকতে রাজো গর্ভবতী হয় এবং সে এক পুত্রসন্তানের জন্মও দেয় কিন্তু সে নিজেও জানে না তার সন্তানের আসল বাবা কে। তার পাঁচ স্বামীর এই ব্যাপারটি নিয়ে কোনো সমস্যাও নেই। উপরন্তু সবাই রাজো আর তার সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছে।

সূত্র অনুযায়ী প্রায় সাত বছর আগে রাজোর বিয়ে হয় সমস্ত হিন্দু রীতি-রেওয়াজ মেনেই, পরিবারের বড় ছেলে গুড্ডুর সাথে। এরপরই রাজোকে তার স্বামীর অন্য চার ভাইয়ের সাথেও বিয়ে করতে হয়। রাজোর এই ধরণের সম্পর্কে কোনো আপত্তি নেই, বরং সে নিজেকে বেশ সৌভাগ্যবতী মনে করে কারণ সে তার পাঁচ স্বামীর ভালোবাসা পায়। রাজোর কথায়, তার পাঁচ স্বামীই তাকে ভীষণ ভালোবাসে এবং সবাই তার খেয়াল রাখে ও যত্ন করে।

এদিকে রাজো নিজেও জানে যে, আমাদের দেশে এরকমভাবে একাধিক বিয়ে করা বেয়াইনি, কিন্তু সে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে বলে যে, ‘আমাদের এখানে মেয়ের সংখ্যা খুবই কম, তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এই কাজ করতে হয়।’ এমত অবস্থায় ওই জায়গায় এরকমই রীতি রয়েছে যে, বাড়ির এক ভাইয়ের সাথে যে মেয়ের বিয়ে হবে, সেই মেয়েটিকে তার স্বামীর বাকি ভাইদের অর্থাৎ দেওরদের বিয়ে করতে হবে।

এই প্রথা ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ পরিবারেই পালন করা হয়। রাজো পাঁচ ভাইয়ের সাথে বিয়ে করে তাদের সাথে সংসার ধর্ম পালন করার জন্য রাজো এখন কলিযুগের দ্রৌপদী নামে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button