এক অঙ্গে দুইভাই , সরকারী চাকরী পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন এই জমজ ভাই সোহনা ও মোহনা

ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা নেওয়া প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেদের “দুই দেহ, এক প্রাণ” বলে থাকে। আজ আমরা আপনাদের পাঞ্জাবের এমন দুই ভাইয়ের কথা বলব যারা এই প্রবাদটিকে আসল জীবনে প্রমাণ করেছে। এই দুই ভাই জন্ম থেকেই একে অপরের সাথে জুড়ে আছে। তারা শারীরিক ভাবে একসাথে জুড়ে থেকেও চাকরি করছে এবং একে অপরের সহায়তাও করছে।
আসুন জেনে নিই এই দুই ভাইয়ের ব্যাপারে- বর্তমানে পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডে চাকরি করছে পাঞ্জাবের সোহনা ও মোহনা নামের দুই ভাই। কোমরের ওপর থেকে তারা একে অপরের সাথে যুক্ত আছে। তাদের দুজনের একজোড়া পা থাকায় অপারেশন বা অন্য কোনো মেডিকেল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা সম্ভব না। সোহনা পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডে মেন্টেনেন্স কর্মচারী, এই কাজে মোহনাও তাকে সাহায্য করে।
এই দুই ভাই 2021 সালে ইলেক্ট্রিকল ডিপ্লোমা করে। এরপর তারা পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডে জে.ই. এর পদের জন্য অ্যাপ্লাই করে। গত 11 ই ডিসেম্বর সোহনা এই চাকরি পেয়ে যায়। এরপর থেকে সে ভাই মোহনার সাথে চাকরি করছে। এই কাজে তাদের মাইনে 20 হাজার টাকা। যদিও 2 বছর পর তাদের বেতন ও পদে বৃদ্ধি পাবে বলে জানা যাচ্ছে। মোহনা ও সোহনা বাড়ি থেকে অফিসে গাড়ি করে যাওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করেছে।
যে কারণে খুব দ্রুত তাদের জন্য অফিস থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে। সোহনা ও মোহনার জন্ম 14 ই জুন 2003 সালে দিল্লির সুচেতা কৃপলানি হাসপাতালে হয়। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে তাদের বাবা-মা তাদেরকে বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর অমৃতসরের পিঙ্গলবারা তাদের দত্তক নিয়ে নেয়। সেখানকার বয়ঃজ্যেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎ কর তাদের নামকরণ করেন।
ডাক্তাররা বলেছিলেন এই দুইভাইয়ের পক্ষে বেশিদিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সোহনা ও মোহনা ডাক্তারদের এই ভবিষ্যদ্বাণী কে মিথ্যে প্রমাণ করেছে। সোহনা ও মোহনা শারীরিক ভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকলেও সরকারি নথিতে তারা দুই পৃথক ব্যক্তি। তাদের আঁধার কার্ড, ভোটার কার্ড সবরকম সরকারি নথি পৃথক পৃথক আছে। ডাক্তারেরা জানান এমন এক লক্ষ ঘটনায় মাত্র একজনই পাওয়া যায় যারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।