এই ভাবে গোল্ড আশা করা উচিত? প্র্যাকটিস ছেড়ে বাবার চিকিৎসার খরচ জোগাতে গাড়ি পার্কিং এর টিকিট বিক্রি করছেন চণ্ডীগড়ের এই বক্সার

বর্তমানে ভারতবর্ষে নীরজ টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখবেন, আমরা কতটা খেলোয়াড়দের ক্রীড়ার বিষয়ে সাহায্য করে থাকি। সোনারূপো পদক জয় করলে চারিদিকে তাদের নামে জয়জয়কার হয়ে যায় কিন্তু সেই ক্রীড়াবিদরা যে কতটা কষ্ট করে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন তার খোঁজ কেউ রাখে না। কিছু বছর পর এই ক্রীড়াবিদ আবার হারিয়ে যাবে জনগণের মাঝে।
বর্তমানে চণ্ডীগড়ের রাস্তায় টিকিট বিক্রি হতে দেখা গেছে একসময় জাতীয় স্তরের বক্সারকে। বর্তমানে অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করার জন্য তিনি এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন। বাস্তব আমাদের যতটা হতাশা দেয় তার থেকেও বেশি আমাদের দিকে আঙুল তুলে দেয়। এটাই আমাদের দেশের বর্তমান খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন বক্সারের ঋতুর গল্প। একসময় চন্ডিগড় এর নামকরা বক্সার ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ পার্কিং স্লিপ কাটতে দেখা গেল তাকে। এই কাজ পেটের দায়ে করতে হচ্ছে তাকে। অসুস্থ বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য খেলা ছেড়ে পার্কিং স্লিপ বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে জানা গেছে, ঋতু একসময় জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে দেশের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচে পদক জিতেছেন তিনি। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকে কখনো সম্মান জানায়নি। এমনকি খেলোয়াড় কোঠায় কোনদিন চাকরি পায়নি সে। এই খবর জানতে পারার পর অনেকেই ঋতুর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। অনেকেরই মন্তব্য আনুসারে যদি বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষকে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে সর্বপ্রথমে খেলোয়াড়দের সম্মান করতে হবে। খেলোয়াড়দের পাশে না দাঁড়ালে কখনোই বিশ্বের দরবারে সম্মান পাওয়া যায় না।