এই পরিবার তাদের গরু সোনা দেবে বলে রোজ গোবরের জন্য অপেক্ষা করে। কারণ জানলে অবাক হবেন

হিন্দু ধর্মে গোরু’কে “মা” মনে করা হয়। অনেকে গোরু’কে দেবতা জ্ঞানে পুজোও করে থাকেন। বেদেও গোরু-র উল্লেখ পাওয়া যায়। মনে করা হয় যেই বাড়িতে গোরু পোষা হয় সেই বাড়ির বাস্তুদোষ থাকে না। এমনকি সেই বাড়ির সকল আপদ-বিপদ গোরু দূর করে দেয়।

আজ আমরা আপনাদের কর্ণাটকের দীপানাহল্লির কথা বলব। যেখানে দীপাবলি উপলক্ষে গোরু ও বাছুরকে সোনার চেন পরিয়ে পুজো করা হচ্ছিল। পুজোর পর সেই চেন খুলে পাশে রেখে দেওয়া হয়। চেনের সাথে কিছু ফুলও ছিল।

পুজো শেষে সবাই চেন খুঁজতে গেলে দেখেন চেন কোথাও নেই। অনেক খোঁজার পরও যখন তারা পাননি, তখন তাদের মনে সন্দেহ জাগে যে চেন গোরু খেয়ে নেয়নি তো?

এরপর পশু চিকিৎসক ডাকা হয়। ডাক্তার এসে চেক আপ করে জানান চেন গোরুর পেটেই আছে। এরপর একমাস দিন রাত এক করে বাড়ির লোকের গোরুর গোবরে নজর রাখেন। এই সময় তাকে বাড়িতেই রাখা হয়। বাইরে চরতে দেওয়া হয়নি তাকে।

গোরু ও বাছুরের ওপর একমাস নজর রাখার পরেও সেই চেন পরিবারের লোকেরা পাননি। তাই বাধ্য হয়ে তাদের সার্জারি করাতে হয় গোরু ও বাছুরের। সার্জারি করার পর গোরুর পেট থেকে 20 গ্রাম ওজনের সোনার চেন পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button