অন্যের জমিতে মোজদুরী করে, যেভাবে এই কিশোরী পেলেন BSF এর চাকরি ,জানলে আপনার চোখে জল চলে আসবে

ঢাক ঢোলের তালে তালে ঘোড়ায় চড়ে মিলিটারি মেয়েকে স্বাগত জানালেন পুরো গ্রাম। গ্রামের মেয়ে সৈনিক হয়ে গেলে গ্রামবাসীরা তাকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। সেই সময় পুরো গ্রাম নেচে উঠেছিল এমনকি সেই মেয়েও নিজেকে থামাতে পারেনি।রাজগড় জেলার পিপল্যা রাসোদা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এখানকার গ্রামে বসবাসকারী সন্ধ্যাকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে নির্বাচিত করা হয়েছিল এবং
ভর্তি হওয়ার পর 8 মাসের প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমবারের মতন ইউনিফর্ম পড়ে যখন সে গ্রামে এলেন তখন শুধু পরিবারই নয় পুরো গ্রাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। সেই প্রসঙ্গে সন্ধ্যা বলেন, “এটি আমার জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত।” উল্লেখ্য যে, নরসিংহগড় তহসিলের পিপল্যা রাসোদা গ্রামে বসবাসকারী দেবচাঁদ ভিলালা শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান এবং তার মেয়ে সন্ধ্যা ভিলালা এই বছরের এপ্রিলে বি.এস.এফ নিয়োগে যোগ দিয়েছিলেন।
কঠোর পরিশ্রমে বি.এস.এফ-এর নিয়োগের পরীক্ষায়, শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং নিয়োগের পদ্ধতি বেছে প্রশিক্ষণের জন্য রাজস্থানে যান। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা রবিবার তার গ্রামে ফিরে আসেন। 8 মাস পর যখন সে তার গ্রামে ফিরে আসেন তখন তার পরিবার সহ পুরো গ্রাম আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে গ্রামবাসীরা সন্ধ্যাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সন্ধ্যার বাবা গ্রামে 27 বছর ধরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘরে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে।
তিন নম্বর মেয়ে সন্ধ্যা তার কঠোর পরিশ্রমে বি.এস.এফ ইউনিফর্ম প্রাপ্ত করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষ করে এখন সন্ধ্যাকে দেশের নিরাপত্তায় নেপাল-ভুটানের সীমান্তে পোস্ট করা হবে। সন্ধ্যা যিনি এম.এ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন, এইস্থানে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সন্ধ্যা অন্যের মাঠের কাজও করেছেন। সন্ধ্যা তার কষ্ট করে অর্জিত অর্থ দিয়ে টুয়েলভ পাস করেছেন। তারপর বৃত্তির টাকা দিয়ে বাকি পড়াশোনা করেছেন।