সমীক্ষায় দেখা গেছে বাথরুমে স্নান করার সময় হয় বেশিরভাগ স্ট্রোক হয়, কারন জানলে চমকে যাবেন

স্ট্রোক এমন একটি অসুখ যা যেকোনো সময় যেকোনো মানুষের হতে পারে। এই রোগ সাধারণত বয়স্ক মানুষের হত, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রোগ যে কোন মানুষের হতে পারে। তবে সাধারণত এই স্ট্রোক বেশিরভাগ বাথরুমে হয়ে থাকে। বাথরুমে স্ট্রোক হয়ে যাবার ফলে মানুষ বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না এবং দীর্ঘক্ষন সেখানে পড়ে থাকেন। কিন্তু একথা কি আপনি জানেন যে কেন বাথরুমে সর্বদা স্ট্রোক হয়?

আসলে বাথরুমে ঢুকে স্নান করার সময় আমরা প্রত্যেকদিন মাথায় আগে জল ঢেলে দিন যেটা একেবারেই উচিত নয়। কিভাবে মাথায় জল দিয়ে দিলে রক্ত মাথায় উঠে যায় এবং আমাদের স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যায় মানুষ এবং অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। বিশ্বের একটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, স্নানের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অথবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্নান করার সময় কিছু নিয়ম মেনে যদি আপনি স্নান করতে পারেন তাহলে এই মৃত্যু এড়াতে পারবেন আপনি সহজে।

এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনি জেনে নিন কিভাবে সঠিক উপায়ে আপনি স্নান করতে পারবেন। স্নান করার সময় প্রথমে মাথায় রাখতে হবে যে, মাথায় চুল ভেজানোর উচিত নয় সবার আগে। মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। বাথরুমে গিয়ে যদি আপনি সবার আগে মাথায় জল ঢেলে দেন তাহলে আপনার রক্ত সঞ্চালনের গতি বহুগুণ বেড়ে যায় হঠাৎ করে। শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রা সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেটুকু সময় দরকার, সেটুকু সময় পাওয়া যায় না এক্ষেত্রে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের তাপমাত্রা অধিক পরিমাণে কমে যায় অথবা বেড়ে যায়।

মাথায় আচমকা জল ঢেলে দিলে মাত্রাতিরিক্ত রক্ত চাপের ফলে মস্তিষ্কে ধমনী ছেড়ে যেতে পারে। তাই সবার আগে আমাদের উচিত পায়ের পাতা ভেজানোর। এরপর আস্তে আস্তে অপরদিকে কাঁধ পর্যন্ত জল দিয়ে ভেজাতে হবে। তারপর দিতে হবে মুখে জল। সবশেষে মাথায় জল দেওয়া উচিত। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি যেকোন সময় স্ট্রোক হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন।

এই পদ্ধতি আরো বেশি অবলম্বন করা উচিত যাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ করেছেন অথবা মাইগ্রেন রয়েছে। এই তথ্যগুলি অবশ্যই নিজের বাড়ির বয়স্ক বাবা-মা অথবা পরিজনদের সঙ্গে শেয়ার করুন। সুস্থ থাকুন এবং ভাল থাকুন এবং আশেপাশের মানুষদের নিয়ে ভালো থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button