চট্টগ্রাম বিভাগ ট্যাংকলরী মালিক সমিতির উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন।
চট্টগ্রাম বিভাগ ট্যাংকলরী মালিক সমিতির উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক মেজবান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ আব্দুল্লাহ কনভেনশন হলে এ আয়োজন করা হয়। এতে সমিতির নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্টজন ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়, আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়—প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে বিশ্বের অন্ধকার দূর হয়ে আলোর প্রদীপ প্রজ্বলিত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কোরআনুল কারিম মানবতার চিরন্তন দিকনির্দেশনা। যুগে যুগে বহু ধর্মগ্রন্থ নাজিল হলেও সময়ের ব্যবধানে সেগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু আল কোরআনের একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি এবং কেয়ামত পর্যন্ত পরিবর্তন হবে না। তাই শুধু কোরআন পড়লেই হবে না, বরং প্রতিটি আয়াতের মর্মবাণী বুঝে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নামাজ ইসলামের স্তম্ভ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে যে নামাজ আদায় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। করোনাকালীন সময়ে মানুষ যেমন অক্সিজেন সংকটে বিপর্যস্ত হয়েছিল, তেমনি নামাজ ও কোরআনের শিক্ষার অভাবও মানুষের জীবনে নানা সংকট তৈরি করে।
নবী করীম (সা.) এর জীবনাদর্শের উদাহরণ টেনে মেয়র বলেন, তিনি ছিলেন ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও মানবিকতার শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত। পাথর নিক্ষেপে আহত হয়েও তিনি আল্লাহর কাছে শত্রুদের হেদায়েতের দোয়া করেছেন। এমনকি যারা পথে কাঁটা বিছিয়ে তাঁকে কষ্ট দিত, অসুস্থ হলে তিনি তাদের সেবায় ছুটে যেতেন। এর মধ্য দিয়েই প্রতিভাত হয় মহানবীর করুণা, ক্ষমাশীলতা ও মহৎ মানবিকতা।
এসময় আরো উপস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগ ট্যাংকলরী মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃকামাল উদ্দিন, মহাসচিব আলহাজ্ব মোঃ আবু তৈয়্যব, কার্য্যকরি সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আব্দুল মুমিন, আবু তাহের, মাঈন উদ্দিন, ইকবাল হোসেন রাজু ।