1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজার ফুটবল স্টেডিয়ামে তাণ্ডব, এখনো মামলা হয়নি চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৪ চকরিয়া পৌরসভা গণসংযোগ করেন চকরিয়া পেকুয়া আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী: আবদুল্লাহ আল ফারুক ধারণক্ষমতার পাঁচগুণ টিকিট বিক্রি, খেলা না হওয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ৩৫তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের সভাপতি জাকারিয়া সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের বাকলিয়ায় সাজা পরোয়ানাপ্রাপ্ত ৬ আসামি গ্রেপ্তার আগ্রাবাদ এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার ৮ মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে,অপরাধীদের ৫ আস্তানা ধ্বংস, অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার বিসমিল্লাহ ফুডকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, সিলগালা

কক্সবাজার ফুটবল স্টেডিয়ামে তাণ্ডব, এখনো মামলা হয়নি

এম কে আলম চৌধুরী
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার ফুটবল স্টেডিয়ামে তাণ্ডব,এখনো মামলা হয়নি..

কক্সবাজারে ‘জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৫’ এর ফাইনাল খেলায় টিকেট কেটে ঢুকতে না পারার অভিযোগে উত্তেজিত দর্শকদের কর্তৃক স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুরের পাশাপাশি তান্ডব চালানোর ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম’ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন শাহীন সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন। পরে গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে স্টেডিয়ামে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। উত্তেজিত দর্শকরা ভাংচুরের পাশাপাশি যে তান্ডব চালিয়েছে তা তদন্তে প্রশাসন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনায় ক্ষতক্ষতি নিরূপনে গণপূর্ত বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন শাহীন বলেন, ঘটনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা স্টেডিয়াম ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় কোন ধরণের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নথিভূক্ত করা হবে।

ধারণ ক্ষমতার বেশী দর্শক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিল এবং অনেকে টিকেট সংগ্রহ করেও ভিতরে ঢুকতে না পারায় দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে এই তান্ডব চালিয়েছে বলে মন্তব্য করে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সময় অন্তত ৫০ হাজারের মত দর্শক স্টেডিয়ামের ভিতরে ছিল। এসময় টিকেট কেটে অসংখ্য দর্শকও ঢুকার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিল।

তবে সমবেত দর্শকদের তুলনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা অপ্রতুল ছিল জানিয়ে সাইফউদ্দীন শাহীন জানান, পুলিশ সহ বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ ধর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যাতে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার ছিল শুক্রবার। রামু ও টেকনাফ উপজেলা একাদশের মধ্যে বেলা ৩ টায় ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৭ টা থেকে স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকেট সংগ্রহ শুরু করেছে দর্শকরা। এই টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও দর্শকের উপস্থিত দেখে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। দুপুরে ২ টা পর্যন্ত আয়োজক কমিটির অতিরিক্ত মূল্যে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুণ টিকেট বিক্রি করে দেয়।

এতে অসংখ্য দর্শক টিকেট কেটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারায় উত্তেজিত হয়ে উঠে। অতিরিক্ত দর্শক গ্যালোরিতে বসার স্থান না পেয়ে গেইট ভেঙে আড়াই টার দিকে দর্শক পুরো মাঠ দখল করে নেন। এতে কারণে মাঠে খেলা পরিচালনার সুযোগ না হওয়ায় আয়োজক সহ পুলিশ ও র্যাব সহ সেনা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

এর মধ্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশে ব্যর্থ দর্শকরা স্টেডিয়ামের বাইর থেকে ভবনে ভাংচুর শুরু করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এর মধ্যে বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটের দেখা মাঠ থাকা দর্শকদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী লাঠি চার্জ করে বের করে দিতে সক্ষম হয়। এর পর মাঠে খেলা পরিচালনার প্রস্তুতি নিলেও গ্যালোরিতে দর্শক ও বাইরের দর্শকরা এক যোগে হামলা করে গ্যালোরি, মাঠ, প্রেস বক্স সহ সব কিছু ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এতে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, পুলিশের ৩ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে ফাইনাল খেলা স্থগিত ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট