এম কে আলম চৌধুরী
চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে তিন মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের শিকার ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি,
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন হেফজ বিভাগের তিন ছাত্র। অপহরণের পর তাঁদের পরিবারের কাছে মোট ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ওই তিন ছাত্রকে কক্সবাজারের রামুর নির্জন এলাকা থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই সকালে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর উলুম তাজবীদুল কোরআন মাদ্রাসার তিন ছাত্র—মিছবাহ উদ্দিন (১৪) ও তার দুই সহপাঠী মাদ্রাসার কাউকে না জানিয়ে নাস্তা করার কথা বলে বাইরে বের হয়। পরে তারা পালিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যায় এবং এক পর্যায়ে রামু এলাকায় যায়।
সেখানেই এক অটোরিকশাচালকের কৌশলে প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়ে তিনজনই অপহৃত হন। পরে তাদের একটি নির্জন স্থানে আটকে রেখে প্রত্যেক ছাত্রের পরিবারের কাছে প্রথমে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরবর্তীতে দরকষাকষির মাধ্যমে এই অঙ্ক কমিয়ে ৫০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনে তারা।
ঘটনার পরপরই পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজ নিয়ে কোনো তথ্য না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মিছবাহ উদ্দিনের মা হামিদা ইয়াছমিন কর্ণফুলী থানায় একটি জিডি (নম্বর: ৮০৯) করেন।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারি ছাত্ররা কক্সবাজারে রয়েছে এবং তারা অপহৃত হয়েছে। অপহরণকারীরা ফোনে মুক্তিপণ দাবি করলে একটি বিকাশ নম্বর চেয়ে কৌশলে অবস্থান শনাক্ত করি এবং বিষয়টি দ্রুত র্যাবকে জানানো হয়।’
র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম জানান, ‘তিন ছাত্রকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
অপহৃত মিছবাহ উদ্দিনের মা বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় জিডি করেছিলাম। পরে রাত ১২টার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। পরে পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রের একজনের বাড়ি চরলক্ষ্যার বোর্ড বাজার এলাকায়, অন্যজনের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। এ বিষয়ে শাহমীরপুর উলুম তাজবীদুল কোরআন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়
নি,।
র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম জানান, ‘তিন ছাত্রকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
অপহৃত মিছবাহ উদ্দিনের মা বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় জিডি করেছিলাম। পরে রাত ১২টার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। পরে পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রের একজনের বাড়ি চরলক্ষ্যার বোর্ড বাজার এলাকায়, অন্যজনের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। এ বিষয়ে শাহমীরপুর উলুম তাজবীদুল কোরআন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।