চৌধুরী
এম কে আলম
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ : শরণার্থী জীবন চাই না, মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই,
‘আমরা শরণার্থী জীবন চাই না। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। আমাদের দাবিগুলো পূরণে মিয়ানমার যাতে বাধ্য হয়, সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ‘নো মোর রিফুজি জীবন’ কর্মসূচির আওতায় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা নেতারা। এছাড়া উখিয়ার বালুখালী ১২নম্বর আশ্রয় শিবিরে কয়েকটি শিবিরও এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী, শিশু-কিশোরসহ হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন শ্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মাঠে তৎপর ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কুতুপালং সমাবেশে বক্তব্য দেন উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের চেয়ারম্যান আবদুল মাজেদ, এক্টিভিস্ট ইউনুছ আরমান, নারী নেত্রী আজমা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে কুতুপালং রোহিঙ্গা এক্টিভিস্ট ইউনুছ আরমান বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের দেশ। আমরা নিজের দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নিবিন্ধত রোহিঙ্গাদের ৩৪বছর উদ্বাস্তু জীবন পার করছি। আমরা আর রিফুজি জীবন চাই না। বিশ্বের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে দ্রুত আমাদের একটা সুষ্ট সমাধানের পথ বের হয়।
রোহিঙ্গা কমিটি পিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন (আরসিপিআর) নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা এই শরণার্থী জীবন আর চাই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি- আমাদের দাবিগুলো মানতে মিয়ানমারকে বাধ্য করে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করুন। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং এ দেশের আইন মানতে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।’
১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, ‘দুপুরের পর আমার এলাকার কয়েকটি শিবিরে বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে। তাঁরা (রোহিঙ্গারা) নিজ দেশে ফিরে বিশ্বের কাছে দাবি তুলেন রোহিঙ্গারা,,।