নীলিমা আকতার চৌধুরীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিবৃতি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারের বিরুদ্ধে
জনাবা নীলিমা আকতার চৌধুরীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিবৃতি,
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা নয়, বরং সারাদেশের নারীদের অগ্রগতির পথে এক নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরীর পারিবারিক অবস্থান :
জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরী, একজন স্বনামধন্য নারী উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরী ছিলেন একজন জনদরদী সমাজসেবক ও সফল ব্যবসায়ী, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে এলাকার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি কক্সবাজারস্থ বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তদানন্তীন পাক আমলে (১৯৬৩-১৯৭১) প্রায় ০৮ বছর চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠ ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগীতার কারণে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে দেশ পূর্নগঠনে পারিবারিক অর্থায়নে জোয়ারিয়ানালা পরবর্তীতে রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর জন্য ০৬.০৬ বিঘা জমিসহ বেশ কিছু কমিনিউটি স্কুল, পানিরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১১.৩০ কানি জমি, জোয়ারিয়ানালার মালাপাড়া গ্রামে ভূমিহীনদের ৫.০ কানি জমি, মতিউর রহমান মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ও স্থাপন, ভারুয়াখালি একটি মাদ্রাসার জন্য ৩.০ কানি জমি, এতিমখানা, মক্তব, মাদরাসা, মসজিদ, টিউবওয়েল, পাতকুয়া স্থাপন করার জন্য প্রায় ৫০ বিঘা নিজস্ব জমি দান করেন ও নির্মাণ করে দেন। নীলিমা আকতার চৌধুরীর পিতা শেখ মফিজুর রহমান জনকল্যাণমূলক কাজে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। জনাব শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ মফিজ মিয়া নামে সর্বাধিক পরিচিত যার অবদান সারা রামু তথা কক্সবাজারবাসী সম্যক অবগত এবং সর্বসাধারনের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের নিরিবিলি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মুস্তাফিজুর রহমান ও আল্লাহ ওয়ালা হ্যাঁচারীর জনাব আবুল কাশেম মিয়ান সাথে জনাব শেখ মফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। নীলিমা আক্তার চৌধুরীর পরিবারের চট্টগ্রামস্থ জামালখানের ১৯৫৪ সালের সেই ঐতিহাসিক বাড়ীর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন,।
বর্তমানের নামকরা অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত জনাব আবদুল্লাহ্ আল নোমান সাহেব, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জনাব সালাউদ্দিন সাহেব যিনি নীলিমা আক্তার চৌধুরীর বড় ভাই মামুনুর রশিদ চৌধুরী সাহেবের ১৯৮০-৯০ সালে চট্টগ্রামের জামালখানস্থ জিয়াংসু চায়নিজ রেষ্টুরেন্টের ব্যবসায়িক সর্ম্পক ইত্যাদি ছাড়াও আরো অনেক কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বর্তমানের নামকরা ব্যক্তিত্ব!
অগ্রযাত্রার ভূমিকা ও অবদান :
নীলিমা আকতার চৌধুরীর পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠান “অগ্রযাত্রা” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্ত একটি সমাজ উন্নয়নমুলক সংস্থা। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী, বেকার যুব ও যুব মহিলাদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং তাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় হতদরিদ্র ও বেকার যুব সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয়বর্ধনমূলক জীবিকা, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসুচী, জনস্বাস্থ্য, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাস, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে জরুরি ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা, স্বল্পমুল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিভিন্ন মানবিক সেবা প্রদান, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, গ্রামীণ রাস্তাঘাট বিশেষ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট পূর্ণনির্মাণ ও সংস্কার (রাস্তাসহ শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প) এবং ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছেন। অগ্রযাত্রা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে গ্রাম ও শহরের ভাগ্যাহত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তন করা, অদক্ষ ও বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা, আয়বর্ধক কর্মকান্ডে দুঃস্থদের সম্পৃক্ত করা, অসহায়দের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া ।
অগ্রযাত্রার সভাপতি নীলিমা আকতার চৌধুরীর উদ্যোগে কক্সবাজারের রামুতে ২০১৪-১৫ বন্যায় ২৫০০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ সহ ৫০০টি পরিবারকে বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজের জন্য নগদ ৭০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। কক্সবাজার জেলায় ২০১২, ২০১৪, এবং ২০১৫ সালের ভয়াবহ বন্যায় রামু ও চকরিয়া উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন স্কুলের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাবদ প্রায় ৭.৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। যার মধ্যে ৬৭টি কাঁচা রাস্তা, স্কুলের মাঠ, মসজিদ ও এতিমখানার মাঠ, কবরস্থান, কালভার্ট সংস্কার উল্লেখযোগ্য এবং ৮৫০০ পরিবার, হতদরিদ্র, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে নগদ ৯০০০ টাকা করে সর্বমোট প্রায় ৭.৬৫ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়।এ
ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ৫০০টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে ।
নীলিমা আকতার চৌধুরীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি :
বিগত ২৫ বছর ধরে সমাজসেবা ও যুব সমাজের আত্মকর্মসংস্থানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ নীলিমা আকতার চৌধুরীর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক ২০০৫ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জাতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ যুব পুরষ্কার, যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন, সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণে অনন্য অবদানের জন্য কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট এশিয়া অঞ্চল কর্তৃক ২০০৭ সালে কমনওয়েলথ ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন), বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় ”সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে যে নারী” ক্যাটাগরীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার-২০১৪, একজন সফল সংগঠক ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ যুবসংগঠক পুরষ্কার-২০১৬ এবং সর্বশেষ আর্ন্তজাতিক International Women Economic Challenge Foundation – IWEC 2024, IWEC Foundation, New York, NY 10028 এ্যাওয়ার্ডসহ আরো অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ।
কমনওয়েলথ ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির পরবর্তীতে তৎকালীন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সাথে বৈঠকের সুত্র ধরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় হতে যুব ও নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে সুপারিশমালা চাওয়া হলে কক্সবাজার তথা সারা দেশের যুব উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ আকারে জমা দেই যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১. কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক মানের খেলার মাঠ তৈরী করা (ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, ইনডোর ষ্টেডিয়াম ইত্যাদি), যেহেতু কক্সবাজারে প্রচুর আন্তর্জাতিক মানের হোটেল মোটেল সুবিধা রয়েছে এবং পর্যটনের বিকাশের স্বার্থে ও ঢাকার মধ্যে যানজটের চাপ কমাতে আন্তর্জাতিক ইভেন্টসমুহ কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া এবং খেলার মাঠসমুহকে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসাবে উপযুক্ত করে আর্ন্তজাতিক ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করা ২. সাভার BKSP এর আদলে কক্সবাজারে খেলাধুলার মানন্নোয়নে আরেকটি বিকেএসপি স্থাপন করার সম্ভ্যতা যাচাই ইত্যাদি সহকারে সারাদেশের জন্য আরো ১১টি প্রস্তাব সুপারিশ আকারে পেশ করা হয়। দাবীসমুহ অত্যন্ত যৌক্তিক ও দেশের উন্নয়নে যুগান্তরকারী বিবেচনায় মন্ত্রী মহোদয় বাস্তবায়ন করবেন বলে দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং বর্তমানে সেগুলোর কিছু দৃশ্যমান!
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় সভায় যোগদান : বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব জনাব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের সভাপতিত্বে কক্সবাজার জেলার পর্যটন ও উন্নয়ন সম্ভাবনা বিষয়ক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ০৭ বারের রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্ত, কক্সবাজারের হতদরিদ্র ও সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক, বেসরকারি সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা “অগ্রযাত্রা”-এর সভাপতি নীলিমা আকতার চৌধুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং কক্সবাজারের পর্যটন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু যুগান্তকারী প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
অপপ্রচার ও ভূমিদস্যুদের ষড়যন্ত্র : দুঃখজনকভাবে, একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ও নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে নীলিমা আকতার চৌধুরীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই প্রচারণা কেবল একজন নারীনেত্রীর প্রতি প্রতিহিংসা নয়, বরং কক্সবাজারসহ সারাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে হস্তক্ষেপের একটি নগ্ন প্রয়াস। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও অসম্মানজনক আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
প্রকৃত ঘটনা : কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর এলাকায় নীলিমা আকতার চৌধুরী ও তাঁর পাঁচ বোন পৈতৃক সূত্রে প্রায় ১১ কানি জমির মালিক, যার বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা। ৫ আগস্টের পর থেকে একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও প্রতারক চক্র দলীয় পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে উক্ত জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালত, রামু থানা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহ অবগত রয়েছে এবং মামলা (নং-৩৩/২০১০) বিচারাধীন রয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা: বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা (মিস আপিল-৬৮/২০২৪) জারি করেছেন এবং শিগগিরই রায় ঘোষণা করবেন।
ভূমিদস্যুদের কার্যকলাপ: নীলিমা আকতার চৌধুরীর পরিবারের চাষিরা গত ৭২ বছর ধরে উক্ত জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী ও কারাবন্দী ডাকাতদের পৃষ্ঠপোষকরা জমিটি জবরদখলের ষড়যন্ত্র করছে।,।
প্রধান ভূমিদস্যুরা:
১. মুসলেহ উদ্দিন গং, পিতা: মমতাজ আলী, গ্রাম: সিকদার পাড়া।
২. গিয়াস উদ্দিন গং, পিতা: আবদুর রহিম (প্রকাশ বাইট্টা), গ্রাম: পানিরছড়া, পোস্ট: ধলিরছড়া, ইউনিয়ন: রশিদনগর, রামু। তাদের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও ডাকাতদের দলবল দেশীয় নলা বন্দুক, দা, লাঠিসোটা, কাঁচি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে চাষিদের ফসল চাষে বাধা দিচ্ছে। জমিতে নামলে গুলি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং প্রতিটি লাশের জন্য লক্ষ থেকে কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে।
উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র:
এই চক্র আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমিটি রাতারাতি বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চায়। জমির অন্যান্য মালিকেরা রামুতে না থাকায়, শুধুমাত্র নীলিমা আকতার চৌধুরী সেখানে থাকেন। তাই তাকে সরিয়ে দিলে ভূমিদস্যুদের জন্য জমি দখল সহজ হবে।
এ লক্ষ্যে তারা – নীলিমা আকতার চৌধুরীকে রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। তাকে ফ্যাসিবাদী সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ট্যাগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে বিভিন্ন মহলে অর্থ বিতরণ করছে। অগ্রযাত্রা কক্সবাজার অফিসে ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।,।
প্রতিবাদ ও অতীত ষড়যন্ত্র :
উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে ১৬ বছর যাবৎ হতদরিদ্র মানুষের জন্য সেবা মুলক কাজ করতে গিয়ে তখনও তিনি স্থানীয় এমপি ও উপজেলার এক চেয়ারম্যানের অবৈধ সুবিধা না দেয়ায়, তাঁর অফিসের কর্মকর্তাদের জামায়াত-বিএনপি ট্যাগ দিয়ে হেনস্তার চেষ্টা করা হয়। অফিসে তালা লাগিয়ে সংবাদপত্রে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হয়। কর্মীদের হেনস্তা ও চাঁদা দাবি করা হয়। গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে অগ্রযাত্রার নারী কর্মীদের হয়রানি করা হয় ফলস্রুতিতে সাধারণ জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে এবং নীলিমা আকতার চৌধুরী ও অগ্রযাত্রা টিম কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
নেতিবাচক প্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ :
জনাব নীলিমা আকতার চৌধুরী উল্লেখ করেছেন যে, তাঁকে কক্সবাজার থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই ভূমিদস্যুরা তাদের অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে। তাই তাঁকে ফ্যাসিবাদী সরকারের সমর্থক হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব অপপ্রচার বন্ধে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি দেশের জন্য কাজ করছেন এবং নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে গেছেন। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে তাঁর সংস্থার কর্মকাণ্ড বন্ধের চেষ্টাও করা হয়েছে, কিন্তু তিনি জনগণের কল্যাণে আপসহীন থেকেছেন।
সকলের প্রতি আহ্বান : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে, সত্য উদঘাটনে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জনাবা নীলিমা আকতার চৌধুরী। তিনি বলেন, কক্সবাজারের সাধারণ জনগণ তাঁর পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন। একইসাথে তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আরও উল্লেখ্য যে, সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রমে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য (এমপি), মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন দিবস উদযাপনের জন্য চিঠির মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অগ্রযাত্রা, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গী ও কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় এনজিও হওয়ায় বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধিরা অগ্রযাত্রার কর্মসূচিতে অংশ নিতে আগ্রহী হন, যাতে তারা সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারেন।
কিন্তু একটি অশুভ চক্র, যা চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও প্রতারক গোষ্ঠী, পরিকল্পিতভাবে অগ্রযাত্রার সভাপতি নীলিমা আকতার চৌধুরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সম্পাদনা (এডিটিং) করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাকে বিভ্রান্তিকরভাবে “ফ্যাসিবাদী সরকারের সমর্থক” হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপপ্রচার কেবল তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং এটি নারীদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতার প্রকাশ, নারীর অগ্রগতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং তাদের সম্মানহানির এক ষড়যন্ত্র।
আমরা এই নিন্দনীয় ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাই। সেই সঙ্গে অবিলম্বে এই অপশক্তিকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমার জীবনের উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণে কাজ করা। আমি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি এবং করব না। যারা সমাজ ও দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।”
সংবাদ ও মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ:
প্রকৃত তথ্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কারও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না হয়। তিনি আশাবাদী যে, সত্যের জয় হবেই।