1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সেন্টমার্টিনের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নিয়মিত পাঠদান থেকে বঞ্চিত,ছাত্ররা সমাজে ক্রমশ নীতি-নৈতিকতাহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কোভিড পরীক্ষার ভুল রিপোর্টের অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা জামালপুরে এনসিপির ৩০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ চক্রের মূলহোতা আটক নগরে র‌্যাব -৭ এর অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ৪ জন মাদক কারবারি আটক কোভিড, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংক্রমণে আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি: মেয়র শাহাদাত চান্দগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে আটক- ৬  চট্টগ্রাম বাকলিয়ায় জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে চন্দনাইশে রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত ৮

কক্সবাজারে ঠান্ডা জনিত সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

 

এম কে আলম চৌধুরী

কক্সবাজারে ঠান্ডা জনিত সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে

কক্সবাজারে গত কয়েকদিন ধরে জেলা জুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। শীত বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। কক্সবাজার জেলায় সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী।

শীতের এই সময়টাতে কাশি, গলাব্যথা, সর্দি, চামড়ায় অ্যালার্জি, অ্যাজমার প্রকোপ, হালকা বা তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় ঠান্ডাজনিত রোগী নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হতে পারে।
সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা প্রদান কালে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ পিংকি বড়ুয়া বলেন, শীত বাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। ঠান্ডা জনিত সমস্যায় বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

চিকিৎসার জন্য আসা রোগীর স্বজনরা বলছেন ঠান্ডা ও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এলে চিকিৎসক ভর্তি দিচ্ছেন। ওয়ার্ডে যাওয়ার পর রোগীর জন্য বেড পাওয়া তো দূরের কথা, মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্যও জায়গা খালি পাওয়া যাচ্ছে না। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিটি বেডে একাধিক শিশুকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ৭ বছর বয়সী হাসনাতুল আয়াতকে শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি হওয়ায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা সদরের খরুলিয়ার জুলেখা বেগম। ৯ দিন চিকিৎসা শেষে ছেলের শারীরিক উন্নতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে আজ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।

নয় মাস বয়সী শিশু ফারিয়া ঠান্ডা নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মা ফাতেমা বেগম জানান, প্রচণ্ড শীতে তার মেয়ে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন ধরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। উখিয়া উপজেলা থাইংখালী ১৩ নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নারী রমিদা বেগম এর ৫ বছর বয়সী মেয়ে মোহজেরা কে নিয়ে ৯ দিন যাবত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চোছো রাখাইন তার ১৮ মাস বয়সের নাতিকে নিয়ে ৪ দিন ধরে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি আছে। চোছো রাখাইন বলেন, ঠান্ডা নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করেন। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। সাড়ে ৩ বছরের শিশু রাসেল কে নিয়ে দাদি জরিনা এসেছেন মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা থেকে। ২ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে দিন মজুর মোতাহের মিয়া বলেন, তার ১৪ মাসের শিশু ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ দিন ধরে হাসপাতালে তার শিশুর চিকিৎসা চলছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আরও কয়েক দিন থাকার কথা বলেছেন ডাক্তারেরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় তিনি খুশি। এর আগে তিনি তার সন্তান কে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করান। ব্যায়বহুল হওয়ায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসারত চকরিয়া উপজেলা থেকে আবদু সালাম (৬৫) জানান, অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা নিয়ে ২ দিন হয়েছে এইখানে ভর্তি হয়েছি, তার আগে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখালে সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থতা অনুভব করছেন বলে উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া জোৎস্না (৫ বছর), রাফি (৭ মাস) করিম (৬ বছর) এবং মিনহাজ (২ মাস) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের পরিবারে সদস্যরা জানান, টানা শীতে তাদের শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে তাদের শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে কিছু কিছু ওষুধপত্র দিলেও অধিকাংশ কিনতে হচ্ছে বাহির থেকে। হাসপাতালে আসা রাবিয়া আক্তার (৪৩) বলেন, ৪-৫ দিনের শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কাঁশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তাররা দেখে ওষুধ দিচ্ছে বাড়িতে যাচ্ছি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডা জনিত রোগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের ওপরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট