সাব-জেল’ কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে, খাবার-সাক্ষাৎ বিধি অনুযায়ী: আইজি প্রিজন
‘সাব-জেল’ কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে, খাবার-সাক্ষাৎ বিধি অনুযায়ী: আইজি প্রিজন সামরিক হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছবি: জিএম মুজিবুর
ঢাকা: আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ সেনা কর্মকর্তা যে সাব-জেলে (অস্থায়ী কারাগার) আছেন সেটি কারা কর্তৃপক্ষেরই তত্ত্বাবধানে থাকবে। কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তরের এবং তাদের খাওয়া-দাওয়াও এই নিয়মে কারাগার থেকে দেওয়া হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আদালতে হাজির হলে ওই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
আদালতের আদেশের পর তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডে সাব-জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইজি প্রিজন জানান, ওই বন্দিদের নিরাপত্তায় কারাগার থেকে কারারক্ষী ও কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন।
কারা বিধি অনুযায়ী বন্দিদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তর থেকেই এবং তাদের খাওয়া-দাওয়াও একই নিয়মে কারাগার থেকেই দেওয়া হবে। তাদের কোনো স্বজন দেখা করতে চাইলেও অনুমতি সাপেক্ষে কারাবিধি অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা করা হবে।
বাইরে থেকেও কোনো খাবার দেওয়া হলেও এই বিধি অনুযায়ী পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলো দেওয়া হবে।
পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে গুম-খুন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের ‘সাব-জেল’ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। পরে আদালত ওই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতক আসামিদের বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
এ তিন মামলায় ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানা যায়।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন। চার্জশিটে প্রায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরে একজন এবং কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সেনা আইন প্রযোজ্য নয়।
আদালতের আদেশে সাব-জেলে বন্দি ১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ ও র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
এছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো.সারওয়ার হোসেন, বিজিবির সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক ক