পেকুয়ায় অজ্ঞান পার্টির ৮ প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
কখনো কবিরাজ আবার কখনো বেদে বা কখনো রিক্সাচালক সেজে যাত্রী ও সাধরণ মানুষকে বিশেষ কৌশলে অজ্ঞান করে প্রতারণার মাধ্যমে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় একটি চক্র। এমন একটি চক্রের ৮ সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ । তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া দেড় ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন এবং নগদ ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল ১৬ অক্টোবর থেকে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া উপজেলা শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার প্রবাসী স্ত্রী শারমিন জন্নাত (৩০) বাড়ীতে একা থাকার সুবাধে বেদে সেজে কয়েকজন মহিলা পানি পান করার অজুহাতে বাড়ি ঢুকে পড়ে। এসময় কৌশলে শারমিন জান্নাতকে বিশেষ কেমিক্যাল স্পর্শ করে অজ্ঞান করে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
পরবর্তীতে শরমিন জন্নাতের জ্ঞান ফিরলে তার চিৎকার প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে পহরচাঁদা এলাকা থেকে ২ মহিলাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মতে আজ সকালে চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে আরও ৬ জনকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রেনু বেগম (৬০), মুক্তা বেগম (৩৮), রুবি বেগম (৩৭), গোলাপী (৫৮),কাকলী (২৫) রৌশন আরা বেগম (৬০), শেফালী বেগম (৪৫), সেলিম সওদাগর (৩৮) গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদপুর জেলা ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার বিষয়ে নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে অজ্ঞান পার্টির ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পেকুয়া থানা এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রলোভিত করে মানুষকে অজ্ঞান করে নগদ টাকাও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে। গতকাল তারা খিলখালী ইউনিয়নের এক প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে কৌশলে বাড়ির মহিলাকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রযুক্তির সহয়তায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়।