—————————(পর্ব-১)—————————
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়ম আর দুর্নীতি দেখার কেউ নেই
. দেশের ভূমি সম্পৃক্ত সকল অফিসের লাগামহীন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। এসব দুর্নীতি কে তোয়াক্কা না করে, দিনের পর দিন বেড়েই চলছে তাদের দুর্নীতি। এ সব আর্থিক দুর্নীতি এখন নীতিতে পরিণত হয়েছে,অনিয়মই যেখানে নিয়ম ।
. আইনগত ভাবে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নগদ কোন আর্থিক লেনদেনের বাধা-বিঘ্ন থাকলেও সরাসরি চলছে আর্থিক লেনদেন। যদিও একেক দলিল লেখক, প্রতি দলিলে ৫ হাজার টাকা থেকে ৯/১০ টাকা অতিরিক্ত গুনতে দেখা গেলেও, মানতে নারাজ দায়িত্বরত অফিসার ও অফিস সহকারী ।
. ভুক্তভোগীরা স্ব ইচ্ছায় অতিরিক্ত টাকা দিয়েও অস্বীকার করছে, যাতে আটকে না যায় তাদের দলিল। এমন কি দলিল লেখকরাও গোপনে স্বীকার করেও, সম্মুখে অস্বীকার করে। কারণ তারা ম্যানেজ করে চলতে হয়,সাব রেজিস্ট্র্রার অফিস কে ।
. এমনই তথ্য চিত্রে ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং রোজ মঙ্গলবার,দুপুর ২টা ৫৭ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত,নাসির নগর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী শ্রী সত্য রঞ্জন চক্রবর্তী, অফিস সহকারী পদবি, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দলিল লেখকদের কাছ থেকে প্রতি দলিলে সর্বনিম্ন ৫০০০/(পাঁচ হাজার) টাকা থেকে ১০,০০০/(দশ হাজার) টাকা নেন। এমন তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।
. গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রতি দলিল লেখকের কাছ থেকে সরকারি ফি ব্যাংক চালান বাদ রেখে, অতিরিক্ত অফিস ও স্টাফ খরচ বাবদ ৫(পাঁচ) হাজার ৭(সাত) শত টাকা থেকে ১০ (দশ)হাজার টাকা দিতে হয় সত্য রঞ্জন চক্রবর্তী কে নগদে। এ ছাড়াও কাগজপত্রে সামান্য সমস্যা থাকলে গুনতে হয় নগদে ১০(দশ)হাজার টাকা থেকে ২(দুই) লাখ ৩০(ত্রিশ) হাজার টাকা। আর এ সবের ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে অসহায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। দলিলের এমন ঝামেলা এড়াতে তাহারাও নিশ্চুপে অর্থনৈতিক অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করে যাচ্ছে।
. চিডা বন্টন নামা দলিলে সরকারি ফিস ২৩০০/(দুই হাজার তিন শত) টাকা মাত্র । কিন্তু দলিল লেখকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৭০(সত্তর) হাজার টাকা হইতে ১ লক্ষ ৬০(ষাট) হাজার টাকা পর্যন্ত ।ওয়াজ বদল দলিল, হেবা দলিল,পাওয়ার অফ এন্টনি সহ বেশ কয়েকটি দলিলে অসহনীয় মাত্রায় টাকা আদায় করেন শ্রী সত্য রঞ্জন চক্রবর্তী,অফিস সহকারী ।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন দলিল লেখক জানান, অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার বিষয়টা শুধু আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, দলিলের মূল্যের উপরে প্রতি লাখে ৮(আট শত) টাকা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দিতে হয়। দলিল স্বাক্ষর হওয়ার পর পরই তাদেরকে এই টাকাটা দিতে হয়।
. সচেতন মহলের দাবি, এসব দুর্নীতি এখনই বন্ধ করা না হলে, বেপরোয়া হয়ে উঠবে দুর্নীতিবাজ ও মধ্যভুগি দলিল লেখকরা। না জানি ৫(পাঁচ) হাজার ৭(সাত)শত টাকার বাহানায় অতিরিক্ত আরও কত টাকা আদায় করে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহজ সরল জমিদাতা নামের আদি অক্ষর “ব” মিডিয়া প্রতিনিধি কে বলেন,আমার দলিলে ঘুষ দেওয়ার পরেও,দলিল লেখক ও সত্য বাবুর মাধ্যমে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি সাব রেজিস্ট্রার সাহেব মশিউর রহমান কে ।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলিল লেখক বলেন,ব্রিটিশ আমল থেকে এই ঘুষের প্রবণতা চলে আসছে, আমরা অসহায় ঘুষ না দিলে কাজ কর্ম কিছু করে দেয় না অফিসে।
. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন দলিল লেখক আমাদের মিডিয়া প্রতিনিধি কে জানান,দলিলের কাগজ পত্রে কোন সমস্যা না থাকিলে,প্রতি দলিলে ৫(পাঁচ) হাজর ৮ (আট শত) টাকা নগদে ঘুষে দিতে হয়। এ সমস্ত ঘুষের টাকা,মাস শেষে অফিসের স্টাফদের মধ্যে বন্টন করে নেন । এই নিউজের তথ্য উপাত্ত হিসাবে প্রতিবেদকের কাছে ভিডিও ও অডিও ফুটেজ রয়েছে।
. উক্ত বিষয়ে অফিস সহকারী শ্রী সত্য রঞ্জন চক্রবর্তী, মিডিয়া প্রতিনিধি কে বলেন,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
. এ বিষয়ে নাসির নগর সাব-রেজিস্ট্রার জনাব মো: মশিউর রহমান মিডিয়া প্রতিনিধি কে বলেন,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া যাবে না ।
. এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ কে একাধিক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি ।
—————————(পর্ব-১)—————————