মোহাম্মদ মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী
জমি ক্রয় নিবন্ধনে আকাশচুম্বী উৎস কর কমানোর দাবিতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত..
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় জমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী উৎস কর আদায়ের বিরুদ্ধে কর কমানোর দাবীতে সেভ দ্য কক্সবাজারের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে ২০ আগষ্ট ২০২৫ইং তারিখ বুধবার সকাল ১০ টায় এক মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে সভাপতিত্য করেন সেভ দ্য কক্সবাজারের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি জনাব তৌহিদ বেলাল। মানব বন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালন করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জনাব কামরুল হাসান।উক্ত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে সাবেক কক্সবাজার পৌর মেয়র জনাব সরওয়ার কামাল বলেন কক্সবাজারের জমিজমা ক্রয়বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন করারোপের প্রভাবে জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্হবির হয়ে পড়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী উক্ত আরোপিত কর জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলনসহ আইনী লড়াই করা হবে বলে জানান। এটা কক্সবাজারের ২৯ লক্ষ জনগণের প্রাণের দাবী।
উক্ত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রবিন ব্যক্তিত্ব জনাব নুরুল ইসলাম, কক্সবাজারের জনস্বার্থে কর্তব্য পারায়ণ সামাজিক সংগঠন সিসিএনএফ এর সদস্য সচিব জনাব জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুকবুল আহমদ, আব্দুর রহিম বাবু, কক্সবাজার জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জনাব আবুল হোসেন, পরিবেশ কর্মী এনামুল হক চৌধুরী , কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি সুজন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মী আরিফ উল্লাহ, জেলা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর প্রমুখ।
বক্তৃতারা বলেন ২০২৫ সালের ০১ জুলাই থেকে কক্সবাজার জেলার ৮১টি মৌজায় জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন উৎস কর আরোপ করা হয়েছে। যা নতুন হারে কৃষি ও নাল জমি প্রতি শতকে ২৫,০০০/- টাকা, আবাসিক জমি প্রতি শতকে ৫০,০০০/- টাকা ও বাণিজ্যিক জমি প্রতি শতকে ১,০০,০০০/-টাকা নির্ধারিত হার বাজারদাম তুলনায় অনেকগুন বেশি। এই অতিরিক্ত উৎস করারোপের প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের যুক্তিহীন আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করেন।
বিভিন্ন বৈষম্যের কারণে বৈধভাবে জমি নিবন্ধন করা অসম্ভবপর হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ হারে উৎস করের প্রেক্ষিতে জমি ক্রেতা ও বিক্রিতাদের মধ্যে বৈধ নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে উৎসাহহীন হয়ে পড়েছেন। এতে বাধ্য হয়ে অনেকে বিকল্প পথ হিসেবে বায়না পাওয়ার অব এ্যাটরনি, হেবা বা দানপত্র সংক্রান্ত পথ বেছে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন। এতেকরে সরকার বহুলাংশে রাজস্ব আদায় বা পাওনা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
উক্ত মানব বন্ধন কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।