মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী

আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক,
চাঁদাবাজদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না

চাঁদাবাজিতে যারা যুক্ত আছে তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলাবাহিনীকে কঠোর নজরদারিসহ তৎপর থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।
রোববার সকালে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক এমন মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসনের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, 'জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে

এ ছাড়া 'মাদকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনী' জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, 'মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরী।
তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে কেবলমাত্র কক্সবাজারের জন্য পৃথক একটি জাতীয় পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে সরকার।

এ ছাড়া উৎসব মুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উদযাপনের লক্ষে কক্সবাজারে জেলা-উপজেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।

সম্প্রতি পৌরসভার টমটমের অবৈধ লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টিতে কোন পৌর কর্মচারী বা কোন ইন্ধনকারী জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় জানানো হয়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, যৌথ অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে। একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে ১০০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে সৈকতে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ মার্কেট বসানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্ত-বাক, মুক্ত-চিন্তার প্রসার ঘটাতেই সংঘটিত হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থান। সকলে মিলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারলেই হবে এর সার্থকতা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মো: সাইফউদ্দীন শাহীন, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদুল হক, পৌর প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ, সাবেক হুইপ জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, ছাত্র প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অপহরণরোধে ব্যবস্থা, জনদুর্ভোগ লাঘবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার, জলাবদ্ধতা নিরসন, লাইসেন্স বিহীন ও অবৈধ ক্লিনিক এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টমটমে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শিত স্থানে রাখা, নিরাপদ সৈকত নিশ্চিতকরণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।