ধর্ষনকারী দিলু
মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী
টেকনাফে পিতার বন্ধু ধর্ষণ করল শিশুকে
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে স্বয়ং পিতার বাল্যকালের বন্ধুর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার ১২ বছরের এক শিশু। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে আজ শনিবার (১৪ জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ভিকটিম শিশুকে।
শুক্রবার (১৩ জুন) জাহাজপুরা নিজ বাড়িতে একাকিত্বের সুযোগে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি।
অভিযুক্ত ধর্ষক হচ্ছে স্থানীয় জাহাজপুরা একই এলাকাv অলী আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ দিলু (৩২)।
ভিকটিমের মা জানান, দিলু এবং মেয়ের বাবা বাল্যকালের বন্ধু। এই বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারণে নিয়মিত যাতায়ত ছিল দিলুর। শুক্রবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশু তার লালসার শিকার হয়। এতে রক্তাক্ত হলেও মেরে ফেলার ভয়ে পেটের ব্যথা ও রক্তাক্ত কাপড়ে থাকলেও এঘটনা বাপ-মা কাউকে জানানোর সাহস করেনি। একদিন পর শনিবার ১৪ জুন ওয়াশ রুম করে বাহির থেকে বাড়ি ঢুকার সময় পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরার দৃশ্য চোখে পড়লে পিরিয়ড চলছে নাকি জিজ্ঞেস করলে কিছু না বলে রুমে চলে যায়। এতে সন্দেহ হলে ভয় দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলে সব ঘটনা খুলে বলে।
ভিকটিমের পিতা মমতাজ আহমদ বলেন, অভিযুক্ত দিল মোহাম্মদ দিলু আমার বাল্যকালের বন্ধু। সেই বাড়িতে নিয়মিত আসত। শুক্রবার বাড়িতে স্ত্রী ও আমি না থাকার সুযোগে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে মা-বাবা ও শিশু কন্যাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। তাই মেয়ে এই ঘটনা কাউকে বলেনি। পরে তার শরীরের অবস্থা খারাপ দেখলে মা জিজ্ঞেস করে পিরিয়ড হয়েছে কিনা। এতে চুপচাপ থাকে। তখন মা তার কাপড় রক্তাক্ত দেখলে বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটছে। পরে মাকে কান্না করতে করতে সবকিছুই বলে দেয়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি এবং সর্বসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোভন কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিমের পরিবার মামলা করলে ধর্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।