রাজীব দাশ- চট্টগ্রাম
সদরঘাটে পরিত্যক্ত ভবনের বাথরুম থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনের বাথরুম থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিনসহ গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চুরি ও অস্ত্র মামলায় জড়িত তালিকাভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সদরঘাট থানা পুলিশ জানায়, পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার সোনালী পরিবহন সংস্থার মালিক মোহাম্মদ জহিরুল আলম গত ২০ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন—তার অফিসে রাতের আঁধারে চুরি হয়েছে। চোরেরা ভেঙে নিয়ে গেছে একটি লাইসেন্সকৃত বিদেশি পিস্তল (নং: ০০২৪১৫), সেটির ম্যাগাজিন, ৭ রাউন্ড গুলি এবং নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা।
মামলার তদন্তে নামে সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আব্দুল্লাহ। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় মো. শাকিল বাবুকে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধরা পড়ে জিল্লুর রহমান রহিত। আরও দুজন—আবু বক্কর সিদ্দিক ও মো. আরিফ হোসেন মেহেদী—কে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, চুরি হওয়া অস্ত্রটি এক লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় এবং সেটি মজুত রাখা হয়েছে বাংলাবাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনে।
১২ মে রাতে পুলিশের একটি দল ওই ভবনের উত্তর-পূর্ব কোনে থাকা বাথরুমে ইটের নিচে খোঁজ করে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ছিল—একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিনে থাকা ৬ রাউন্ড গুলি, একটি পুরোনো রেঞ্চ, একটি লোহার কাটার ও একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা সবাই একাধিক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র, চুরি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩টি, মেহেদী হাসানের নামে ২২টি, শাকিল বাবুর বিরুদ্ধে ১৭টি এবং জিল্লুর রহমান রহিতের নামে ৫টি মামলা রয়েছে।
১২ মে রাতে সদরঘাট থানায় অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় নতুন করে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
নগর পুলিশ বলছে, এই চক্রের বিরুদ্ধে আরও তথ্য সংগ্রহ চলছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।