1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুর-আদাবরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭ গ্রেপ্তার চসিক পরিচালিত স্কুলগুলোতে‘পরিবেশ ক্লাব’ গড়ে তোলা হবে:মেয়র ড.শাহাদাত জন্ম নিবন্ধনে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে মেয়রের অনন্য উদ্যোগ হারানো বিজ্ঞপ্তি ফুলতলা পায়গ্রাম কসবায় বহুল আলোচিত মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক গ্রেপ্তার, টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, টেকনাফে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১১ চন্দনাইশে সিলিন্ডারের দোকানে বিস্ফোরণ, ১০ শ্রমিক দগ্ধ চট্টগ্রামে ২২০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন : পুলিশ সুপার চট্টগ্রামে মশাল মিছিল,ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার মহেশখালী–কক্সবাজার নৌরুটে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উভয় ঘাটে লাইফ জ্যাকেটের স্টক

খাল-নালা পরিষ্কারে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে চসিক

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

 

আমান উল্লাহ দৌলত

খাল-নালা পরিষ্কারে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে চসিক,সক্ষমতা না থাকায় এ অর্থ চাওয়া হয়েছে : মেয়র

জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরে চলমান মেগা প্রকল্পবহির্ভূত ১৪শ কিলোমিটারের বেশি সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেন ও খাল রয়েছে। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় এসব ড্রেন ও খাল পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন। খালগুলো সিডিএর মেগা প্রকল্পবহির্ভূত হওয়ায় পরিষ্কার করার দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)। সংস্থাটির হিসাবে বর্ষার আগে এসব ড্রেন ও খাল থেকে মাটি ও বর্জ্য অপসারণে ব্যয় হবে ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু দেনার ভারে জর্জরিত চসিকের পক্ষে এ টাকা ব্যয়ের আর্থিক সক্ষমতা নেই। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছেই টাকাগুলো বরাদ্দ চেয়েছে চসিক।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন  বলেন, মেগা প্রকল্পভুক্ত ৩৬টি খালের বাইরে আরো অনেকগুলো খাল রয়েছে। এসব খাল যদি আমরা বার বার পরিষ্কার করতে পারি তাহলে জনগণকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারব। কিন্তু এ জন্য যে ব্যয় হবে তা খরচের আর্থিক সক্ষমতা কর্পোরেশনের নেই। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন ৪১১ কোটি টাকার বেশি দেনা ছিল কর্পোরেশনের। থোক বরাদ্দ দিয়ে যে কাজ করব সে সুযোগও নেই। তারপরও কিন্তু আগামী বর্ষায় জনগণকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় বসে নেই। খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। মহেষখালে কাজ করছি। কৃষিখালও পরিষ্কার করেছি। সামনেও খাল পরিষ্কার কাজ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে যে সভা হয়েছে সেখানে আগামী চার মাসের মধ্যে করার জন্য কিছু কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করা হয়েছে। তাছাড়া খাল পরিষ্কার রেখে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে অর্থ প্রয়োজন। তাই ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখেছি। আশা করছি চট্টগ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় কাঙ্ক্ষিত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে দেয়া পত্রে বলা হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সিডিএ বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতাভুক্ত খালগুলো বাদ দিয়ে বাকি প্রায় ১৪শ কিলোমিটারের অধিক বিভিন্ন সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি ড্রেন ও খাল পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ড্রেনগুলো থেকে মাটি ও বর্জ্য উত্তোলন করে নিরবচ্ছিন্ন পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে আগামী বর্ষায় সম্ভাব্য জলমগ্নতার মাত্রা অনেকটাই কমে আসবে। পরিষ্কার কার্যক্রমটি অত্যন্ত জটিল ও বিভিন্ন ধরনের যান–যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। তাই সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পন্নকরণে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। বর্তমানে একসাথে এত টাকা খরচ করার মত আর্থিক সক্ষমতা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নেই এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যান–যন্ত্রপাতিরও অভাব বিদ্যমান।

পত্রে নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে শুষ্ক মৌসুমে চসিকের বিভিন্ন ধরনের ড্রেন থেকে মাটি ও বর্জ্য উত্তোলন এবং অপসারণের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে চসিককে ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক বরাদ্দ প্রদানের অনুরোধ করা হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একই চিঠিতে বলা হয়, জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে চট্টগ্রাম শহরে চলমান প্রকল্পসমূহের আওতায় খাল–নালা প্রশস্তকরণ, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, স্লুইচ গেইট স্থাপনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলমান থাকা সত্ত্বেও গত বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছিল। মূলত ভারি বৃষ্টিপাত এবং খাল–নালাসমূহে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য ও মাটি জমে থাকায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে শহরে কয়েকবার জলাবদ্ধতার ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট