1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চট্টগ্রামের বিতার্কিকরা সবসময় এগিয়ে থাকবে:মেয়র ডা. শাহাদাত শাপলা নয় ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ১ নভেম্বর মানতে হবে ১২টি নির্দেশনা চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় পলাতক জনি গ্রেফতার চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যা: ছাত্রলীগ ক্যাডার নেজাম গ্রেফতার নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না: আমীর খসরু ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের সহজবোধ্য বই প্রকাশ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা বন্দরের ট্যারিফ নিয়ে ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক: আমীর হুমায়ুন হালদায় ভেসে উঠলো ২০ কেজি ওজনের কাতলা মাছ ঈদগাঁওয়ে আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

 সিডিএ মাস্টারপ্ল্যান ৷তৈরি করা হচ্ছে, এক নগরী দুই শহর 

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে
মাসুদ পারভেজ
সিডিএ মাস্টারপ্ল্যান ৷তৈরি করা হচ্ছে, এক নগরী দুই শহর
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) দীর্ঘ ৩০ বছর পর চউক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে। ১ হাজার ২৫৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে চট্টগ্রাম ওয়ান সিটি টু টাউন (এক নগরী, দুই শহর) কনসেপ্টে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। সমতার ভিত্তিতে পরিকল্পিত উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন সংস্থাকে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। পাহাড়, নদী, খাল ও পুকুর চিহ্নিত ও রক্ষায় মাস্টারপ্ল্যানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের কাজ চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে ৭৭৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়। এখন সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে আশপাশের কয়েকটি উপজেলাকে প্ল্যানের আওতায় আনা হচ্ছে। এলাকার মধ্যে রয়েছে সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড, হাটহাজারী, রাউজান, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়া পৌরসভা এলাকা, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড উপজেলার আংশিক এলাকা। এসব এলাকায় আয়তন ১ হাজার ২৫৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২২ সালে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়। চউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রায় ৭০ জনের একটি টিম মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছে। বর্তমানের প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগের মাস্টারপ্ল্যান মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো সম্প্রসারিত হয়েছে। কর্ণফুলী নদীতে পতেঙ্গায় টানেল নির্মিত হওয়ায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাশে শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে চায়না ইকোনমিক জোন, কোরিয়ান ইপিজেড, পতেঙ্গায় বে-টার্মিনাল ও মিরসরাই ইকোনমিক জোন নির্মিত হচ্ছে। কর্ণফুলী উপজেলায়, পটিয়া উপজেলার একাংশে, সীতাকুণ্ড এলাকায় বৃহত শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে শহর এলাকা ঘিরে নির্দিষ্ট জায়গা জুড়ে হাসপাতাল, কলেজ, গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা, আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এতে মূল শহর এলাকা ঘিঞ্জিতে পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে, পুকুর, খাল ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। কৃষিজমিতে বিক্ষিপ্তভাবে শিল্পকারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানে তদারকি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। খেলার মাঠ ও পার্ক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। কোন এলাকায় হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও শিল্প এলাকার আশপাশে আবাসিক এলাকা নির্মাণের স্থান প্ল্যানে উল্লেখ থাকবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, বন্দর, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি, সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত, পিডিবি ও রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।
সিডিএ সূত্র জানায়, গত ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম শহর এলাকা নিয়ে প্রথম মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। এই মাস্টারপ্ল্যানে শুধু কর্ণফুলী নদীর উত্তর মূল শহর এলাকা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল। এতে পুরো নগরীকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছিল। গত ৩০ বছরে চট্টগ্রাম শহর এলাকা অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। নানা ধরনের স্থাপনা বেড়েছে। আগের মাস্টারপ্ল্যানে কিছু ত্রুটিও ছিল। ফলে বিভিন্ন সেবা সংস্থা নিজস্ব প্রয়োজনের কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের শহরের প্রতি ১৫/১৬ বছর পরপর মাস্টারপ্ল্যান আপডেট করতে হয়।
জানতে চাইলে সিডিএর উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মাস্টারপ্ল্যানের প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু ঈসা আনসারী বলেন  ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টে পরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এখানে সেবা সংস্থাগুলোকে বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্ল্যান তৈরির কাজ শেষ হবে। এর পর স্টকহোল্ডারদের নিয়ে গণশুনানি হবে।’
নগর পরিকল্পনাবিদরা সিডিএর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে প্রণীত মাস্টারে অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। ১২টি জোনের মধ্যে কোনো কোনো জোনে হাতও দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহসভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া  বলেন , ৯৫ সালের পর ২০০৮ সালে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানও করা হয়েছিল। এসব প্ল্যানে চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও হাটহাজারী, মদুনাঘাট, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারার বিভিন্ন এলাকা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। কিন্তু আগের মাস্টারপ্ল্যানের অনেক কাজই বাকি আছে। এখন আগের মাস্টারপ্ল্যানের কী কাজ বাকি আছে, কী হয়েছে, কোনটা হয়নি, কেন হয়নি তা মূল্যায়ন করে পরবর্তী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। না হয় জনগণকে বোকা বানিয়ে বিপুল টাকা খরচ করে একের পর এক মাস্টারপ্ল্যান করলে জনগণের কোনো উপকারে আসবে না।’
চট্টগ্রাম ওয়াসা ২০১৭ সালে ড্রেনিজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম অগ্নিশিখা কে  বলেন, ‘ওয়াসা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান অনুসরণ করে ড্রেনিজ মাস্টারপ্ল্যান করেছে। আমাদের প্ল্যানের কপি সিডিএকে দিয়েছি। ফলে সিডিএ নতুন করে মাস্টারপ্ল্যান করলে কোনো সমস্যা হবে না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট