রফিক মাহমুদ
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ শতাধিক বসতি, শিশুসহ নিহত ২
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ শতাধিক বসত ঘর সহ নানা স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয় শিশুসহ দুজন ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং এলাকার লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
নিহতর একজন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের শিশু পুত্র বোরহান উদ্দিন (৬) ও নুরুল আমিনের পুত্র আবুল খায়ের (৬০) বলে জানিয়েছেন উখিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার শফিফুল ইসলাম।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ২ ঘণ্টার অধিক সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল দৈনিক এখন বার্তা কে জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫৪৪ কাচা বসতি সহ নানা স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা তিনি নিশ্চিত করেন। আহত হন আরো ৬ জন রোহিঙ্গা।
নিহত আবুল খায়েরের ভাতিজা মো. মুজিবুল্লাহ বলেন, ‘কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানা নেই। দাউ দাউ করে যখন আগুনে ক্যাম্পের ঘরগুলো জ্বলছিল সেসময় আমার চাচা বের হতে পারেননি। ঘরে থাকা সব কিছু পুড়ে গেছে। যে সমস্ত ঘর পুড়ে গেছে তারা কোনো কিছু বের করতে পারেনি। সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, দুপুরে ওই ক্যাম্পের ডি-ব্লকের একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন ধরে। মুহূর্তেই তা অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ইউনিট যুক্ত হয়।
এদিকে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোহিঙ্গা মাঝিরা ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।