ফরিদ উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা ভুমি বিরোধ কে কেন্দ্র সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী কাবিয়া খাতুন।গতকাল বিকালে লামা প্রেসক্লাবে হল রুমে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এসময় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক রা উপস্থিত ছিলেন।
তারপক্ষেকথা বলেন,তার বড় ছেলে জামাল উদ্দিনের দাবী
ও বার বার হামলা করে জায়গার স্থাপনা নষ্ট করার প্রতিবাদে এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পদ রক্ষায় সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করে সাংবাদিক সম্মেলন
আমার স্বামী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান ১৯৭১ ইং সনে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আমার স্বামী সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি এই গর্বিত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হই। আমার ২ ছেলে ও ০৩ মেয়ে। আমার স্বামী গত ২০০৫ ইং সনের ২৩ জুন মৃত্যুবরণ করেছেন। সেই থেকে আমি আমার ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে দুঃখে কষ্টে দিন যাপন করে আসছি। আমার স্বামীর নামে ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজায় (পূর্নবাসন) আর/১০৬নং হোলিং মূলে ৫.০০ (পাঁচ) একর ৩য় শ্রেণীর জমি তৌদিভূক্ত আছে। বন্দোবস্তি প্রাপ্তির পর থেকে এই জায়গা আমরা ভোগদখলে আছি। আপনারা জানেন, সারা বাংলাদেশী মিরিঞ্জা হ্যাপী একটি পরিচিত পর্যটন রিসোর্ট। আমাদের এই জায়গায় আজ থেকে ৩/৪ বছর পূর্ণ হতে পর্যটন খাতকে বিকাশ করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মিরিন্জা এলাকায় দেশি বিদেশি হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটছে। শত শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কায়িক পরিশ্রম করে বহু অর্থ ব্যয়ে মিরিঞ্জা পাহাড়ের মাধ্যমে লামা উপজেলার পর্যটন খাতকে একটি সম্ভাবনাময়ী শিল্প হিসেবে বিকাশ করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আজ লামা উপজেলার পর্যটন খাত সারা দেশের মধ্যে সম্ভাবনাময়ী অর্থনৈতিক শিল্প হিসেবে পরিণত হয়েছে।

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এই সম্ভাবনাকে ধ্বংস করার জন্য একটি বিশেষ মহল কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের মিরিঞ্জা ভ্যালী ধ্বংসের মাধ্যমে লামার পর্যটন খাতকে ধ্বংস করার জন্য একটি ভূমিদস্যু চক্র একের পর এক ঢংক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমার স্বামীর নামীয় জায়গায় মিতিঙ্গা ভ্যালী প্রতিষ্ঠিত হয়ে পর্যটন পিপাসুদের হৃদয় আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা চাই, লামার পর্যটন শিল্পের বিকাশ হউক। আপনারা জেনে অবাক হবেন- আমাদের এই মিরিঞ্জা ভ্যালীতে এই পর্যন্ত একটি চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র একের এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে গত ২৪/১১/২০২৪, ২৫/১১/২০২৪, ০৩/১২/২০২৪ ও ২২/১২/২০২৪ ইং তারিখে চিহ্নিত এই একটি পেশিশক্তির বলে বলিয়ান হয়ে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে মিরিঞ্জা ভ্যালীর স্থাপনা ধ্বংসের জন্য হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রতিটি তারিখে হামলার বিষয়টি লামা থানায় লিখিত এবং মৌখিক ভাবে অবহিত করেছি এবং পুলিশের আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থল গমণ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে অসহায় জনের বন্ধুগণ- প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারী এবং চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের সনাক্ত করার পরেও এবং তাদের হামলার বিষয়টি সরেজমিন প্রমাণিত হওয়ার পরেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং হামলাকারীরা উল্টো মিরিঞ্জা ভ্যালী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে হয়রানী করেছে। পুলিশ এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে লামা থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেছে। তারমধ্যে জিডি নং- ১০১০, তারিখ- ২৬/১১/২০২৪ ইং ও অপর একটি। প্রিয় বন্ধুগণ- আজকে আমি মিডিয়ার সামনে এই সকল ষড়যন্ত্রকারী বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।
তিনি আরো বলেন,নির্যাতিত পক্ষে কলম সৈনিক বন্ধুগণ- গত জুলাই আগষ্ট/২০২৪ বিপ্লবের পর উপরে বর্ণিত এই সকল ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে গায়ের জোর দেখিয়ে আইনকে তোয়াক্কা না করে এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিরিঞ্জা ভ্যালীতে জবর দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বিপ্লবের পরবর্তী সময়কে উপরে বর্ণিত ব্যক্তিগণ ভূমি অবর দখলের মোক্ষম সময় হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। তাই আজ আপনাদের মাধ্যমে তাদের এই জাতীয় ভূমিদস্যুতার চরিত্র প্রশাসন ও জাতির সামনে প্রকাশ করার জন্য এবং আমার উপরে বর্ণিত বক্তব্যগুলো আপনাদের স্ব-স্ব মিডিয়ায় প্রচার করার জন্য এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিনীত অনুরোধ করছি।।