1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

৮৯০ কোটি টাকা  ২১ দিনে এক গ্রাহককে ঋণ,পুরোটাই আত্মসাৎ

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ সোহরাব হোসেন

ইসলামী ব্যাংক চাকতাই শাখা । এস আলমের ছেলেসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সব মিলে আত্মসাৎ ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা

মাত্র ২১ দিনে একজন গ্রাহককে ৮৯০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক চাকতাই শাখা, যার পুরোটাই মূলত আত্মসাৎ। দুদক জানিয়েছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ঐ গ্রাহক সবমিলে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় ২১ দিনের সেই গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে ৩৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ২৫ জন হচ্ছেন ব্যবসায়ী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ইয়াছিন আরাফাত।

আসামিদের মধ্যে যে ৩৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন তারা হলেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি ও এএমডি মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, আবু ছাঈদ মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার আমান উল্লাহ, চাকতাই শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমান এফএভিপি মোহাম্মদ আলী আজগর, চাকতাই শাখার সাবেক বিনিয়োগ ইনচার্জ খাজা মোহাম্মদ খালেদ, চাকতাই শাখার প্রধান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনজুর হাসান, ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ও দক্ষিণের অপর জোনপ্রধান ও এসইভিপি মিয়া মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।

২৫ ব্যবসায়ী হলেন, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশনের মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, রেইনবো কর্পোরেশনের রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, আনছার এন্টারপ্রাইজের আনছারুল আলম চৌধুরী, সোনালী ট্রেডার্সের সহিদুল আলম, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের এম এ মোনায়েম, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউসের এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউসের ফেরদৌস আহম্মদ বাপ্পি, এনেক্স বিজনেস কর্নারের আনোয়ারুল আজম, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউসের মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউসের মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশনের কাজী মেজবাহ উদ্দিন, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের এমডি মো. রাশেদুল আলম ও পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সবুর, স্যোসাল ট্রেড সেন্টারের আলী জহুর ও শাহ আমানত ট্রেডার্সের মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সরোয়ার চৌধুরী ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক চাকতাই শাখায় হিসাব খোলার পর ২৯ নভেম্বর ৮৯০ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। ঋণ আবেদনের উদ্দেশ্য যাচাই–বাছাই, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা পণ্য সংরক্ষণের গোডাউন, মালিকের ব্যবসায়িক চরিত্র, বৈশিষ্ট্য, ব্যবসায়িক মূলধন, আর্থিক সক্ষমতা, ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা না করেই গ্রাহকের আবেদনটি পরের মাসেই অনুমোদন করা হয়। অথচ মিথ্যা বানোয়াট তথ্যের উপর ভিত্তি করে ঋণের আবেদনটি করা হয়েছিল। ঋণ বিতরণের সময় বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকের বিপুল অংকের ঋণ থাকলেও সে বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি বা কোয়ারি করা হয়নি, এমনকি সেসকল ব্যাংকের অনাপত্তি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তাও আমলে নেয়া হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ ক্রেডিট রেটিংয়ের উপর ভিত্তি করেই মাত্র ২১ দিনে একজন গ্রাহককে ৮৯০ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে, যার বিপরীতে জামানতের পরিমাণ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মাত্র ২৭০ কোটি টাকার এমটিডিআর। ব্যালেন্স শিটে বর্ণিত অবাস্তব আর্থিক উপাদান সমূহের সত্যতা যাচাই করতে আয়কর নথি, গ্রাহকের সম্পদের প্রমাণক কোনো কিছু যাচাই না করেই বিপুল পরিমাণ ঋণ অনুমোদন করা হয়।

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক সাধারণ আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, কোনো রকম যাচাই বাছাই না করে গ্রাহকের প্রস্তাব মোতাবেক ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি করে ঋণের পরিমাণ ৮৯০ কোটি থেকে ১ হাজার ১০০ কোটিতে উন্নীত করা হয়। নিয়োগের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না হয়ে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর মাত্র ৬ দিনে ৮৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয় এবং উক্ত অর্থ দিয়ে মেসার্স সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্টস এবং চেমন ইস্পাতের বিনিয়োগ ডিল সমন্বয় করা হয়।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট