আইসিসির ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’ এখন কক্সবাজার সৈকতে
এম কে আলম চৌধুরী কক্সবাজার
সকলের জন্য থাকবে উন্মুক্ত
লাবণী সৈকতে প্রদর্শিত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত
আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু থেমে নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিশ্বভ্রমণ। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রফিটি এসে পৌছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। বুধবার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রথম জনসমক্ষে দেখা যাবে ট্রফিটি, থাকছে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
বিসিবির সিনিয়র ম্যানেজার মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন রাবীন ইমাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর তত্ত্বাবধানে আগামী ফেব্রুয়ারী-মার্চ ২০২৫-এ পাকিস্তানে আইসিসি ম্যানস চ্যাম্পিয়নশীপ শুরু হতে যাচ্ছে।
মূল ট্রফিটি উক্ত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহে প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে। কক্সবাজার-এ অবস্থানকালীন সময়ে সীমান্ত সম্মেলনকেন্দ্র ঊর্মি এর সম্মুখের সৈকতে ট্রফি প্রদর্শন করবে। সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ট্রফি।
আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এখনও ভেন্যু জটিলতা নিয়ে ধুঁকছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখন পর্যন্তও কোনো সমাধান জোটেনি। তবে, ঘনিয়ে আসছে টুর্নামেন্টটির দিনক্ষণ। শুরু হয়ে গেছে ট্রফি ট্যুরও। সূচি অনুযায়ী, দেশ পরিক্রমায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হয়ে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাংলাদেশে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা; আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে প্রতিনিধি দল পৌছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। সেখান থেকে গাড়িবহর যোগে দলটি পৌছে সাগরপাড় সংলগ্ন সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র ঊর্মিতে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য রাখা হয়েছে ট্রফিটি। তবে ট্রফিটি এখনো জনসম্মুখে দেখা যায়নি। আর প্রতিনিধি দলটি ঘন্টাখানেক ঊর্মিতে অবস্থানের পর পরিদর্শন করে ট্রফি প্রদর্শনের স্থান।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে প্রদর্শন করা হবে ট্রফি। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ট্রফি। কিন্তু এনিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নেই কোন ধরণের প্রচার-প্রচারণা। এমনকি সীমান্ত সম্মেলেনকেন্দ্র ঊর্মিতেও নেই কোন ধরণের ব্যানার-ফেস্টুন। হোটেল মোটেল জোন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিংবা সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোতে নেই প্রচারণা।
এদিকে কক্সবাজারের স্থানীয়দের অনেকেই বলছে, আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কক্সবাজারে প্রদর্শন করা হবে এটা জানা নেই তাদের।
নুরপাড়ার বাসিন্দা হাবিব বলেন, আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কক্সবাজারে প্রদর্শন করা হবে এটা তো কোথাও জানলাম না। এনিয়ে কক্সবাজার শহরে কোন প্রচার-প্রচারণা কিংবা ব্যানার-ফেস্টুনও দেখলাম না।
পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিনই কক্সবাজারে ভিড় করছে হাজার হাজার পর্যটক। তারাও জানেন না কক্সবাজার সৈকতে প্রদর্শিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। প্রচার-প্রচারণায় না থাকায় হতাশ পর্যটকরাও।
ঢাকার বাসিন্দা রিয়াজুল কবির বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কক্সবাজারে এটা নিয়ে কোন ধরণের প্রচার-প্রচারণা নেই। এটা খুবই হতাশার।
কক্সবাজারে প্রদর্শনী শেষে বুধবারই ট্রফি নিয়ে আসা হবে ঢাকায়। ঢাকায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীর পর বাংলাদেশ থেকে পরের সফরের দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে ট্রফিটি।