কাউছার মিয়া
গত ৫ আগষ্টের আগে তৎকালীন সরকারের প্রতিটি অফিস দূর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল। ডিজিটালের আড়ালে চলতো ঘুষ বানিজ্য, চুরি, বাটপারির মাসোহারা। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে চৌকিদার পর্যন্ত দূর্নীতির মহোৎসবে মেতে ছিল। সবচেয়ে দূর্নীতি হতো ভূমি মন্ত্রণালয়ে। ভূমি অফিসের চৌকিদার থেকে শুরু করে পর্যায় ক্রমে যে যত বড় কর্মকর্তা সে তত বেশি বাড়ি গাড়ির মালিক হয়েছে।
কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে সরকারি অফিস গুলোতে ও পরিবর্তনের হাওয়া লাগে।এই পরিবর্তন খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি আবারও সেই পূর্বের ন্যায় ঘুষ বানিজ্য, দূর্নীতি শুরু হইছে।
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের নাজির আমিনুল ইসলাম জমি নামজারীর ডিসি আর কাটতে ৩ হাজার টাকা নেয়।অথচ সরকারি গ্যাজেট অনুযায়ী ডিসি আর কাটতে ১,১৫০ টাকা নির্ধারণ আছে। আমিনুল সরকারি নিয়ম না মেনে ৩ হাজার টাকা নিচ্ছে। জমির মালিক যদি নিজে ডিসি আর কেটে কাগজ জমা দেয় তাহলে আমিনুল কে অতিরিক্ত ১৫ শত টাকা দিতে হয় এমনই তথ্য দেয় একাধিক নামজারী করতে আসা ব্যক্তি।
এবিষয়ে নাজির আমিনুলের কাছে অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি চুপ করে কিছুক্ষণ বশে থেকে বলে আপনি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে পলাশ উপজেলা ভূমি কমিশনার এইচ এম ফখরুল হোসাইন এর মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মোবাইল কেটে দেন।
পলাশের সাধারণ জনগণের একটিই কথা এই দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নয়তো রক্তচোষাদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হবে সাধারণ জনগণ। রাজস্বের আড়ালে গরীবের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দূর্নীতিবাজরা।