1. ekhonbartabd@gmail.com : দৈনিক এখন বার্তা : দৈনিক এখন বার্তা
  2. info@www.ekhonbarta.com : দৈনিক এখন বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কর্ণফুলীতে স্বামীর শিলনোড়ার আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ নেত্রী পাখি গ্রেফতার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন থানায় ওসি পদে রদবদল চান্দগাঁওয়ে দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার কর্ণফুলীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪ আগের মতো সারাদিন পানি জমে থাকছে না: মেয়র শাহাদাত মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা মামলায়,ডিবির অভিযানে অস্ত্রগুলিসহ গ্রেপ্তার ১ চান্দগাঁও থানায় বিস্ফোরক মামলার আসামি, কর্ণফুলী থানার পুলিশ ইউপি সদস্য কে গ্রেপ্তার সুবর্ণচরে বন্যার পানি সরানোর দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে বিশাল মানববন্ধন চান্দগাঁও থানার অভিযানে সিএমপি অধ্যাদেশ ৩ জন আসামী গ্রেফতার

নিরাপত্তা শঙ্কার মাঝেও কক্সবাজারে বাণিজ্য মেলার অনুমোদন, প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব  দেন আঃলীগের  নেতা  লিটনকে

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

 

এম কে আলম চৌধুরী

নিরাপত্তা শঙ্কার মাঝেও কক্সবাজারে বাণিজ্য মেলার অনুমোদন
৫ আগস্টের পরিবর্তিত সময়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এ প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরে কোথাও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। কয়েকটি জেলায় অনুমতি দিয়ে, নিরাপত্তা বিবেচনায় তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবারও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দিয়েছে। পর্যটনে নিরাপত্তা সংকট নেই, এটি প্রমাণ করতেই এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মেলার অনুমতির বিষয়ে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও নাজুক। সময়মতো পুলিশ কল করেও পাওয়া যায় না। এরপরও পূর্ব ধারাবাহিকতায় মেলার আয়োজনের জন্য আবেদন করেছি। আবেদন আমরা করলেও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে সাইফুল ইসলাম লিটনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে, এবারের বাণিজ্য মেলার প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে কক্সবাজার পৌর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশের আশঙ্কা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মেলা ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে।

এ বিষয়ে চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে-এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং প্রয়োজনে চুক্তিও বাতিল করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন স্বাক্ষরিত ৩১ অক্টোবরের জেলা প্রশাসনের সাধারণ শাখার এক আদেশে কলাতলীর লোভানা ইসলাম আরোহী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলামের নামে ১ ডিসেম্বর হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেয়া হয়। ২৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার বিশেষ শাখার দেয়া অনাপত্তিপত্র মূলেই এ অনুমতি দেয়া হয় বলে উল্লেখ রয়েছে। নিজস্ব নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে ২৯টি নির্দেশনা দেয়া হয় অনুমতি পত্রে।

কক্সবাজারের দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক নয়। কক্সবাজারও একই অবস্থায় রয়েছে। এমন সময়ে বাণিজ্য মেলা লাভের চেয়ে ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা জেলা শহরে যারা ব্যাংক ঋণ, দেনায় ব্যবসা করি- তারা শুরু হতেই বাণিজ্য মেলার বিরোধী। প্রতি ঈদের আগে বাণিজ্য মেলায় মানহীন অনেক পণ্য সস্তায় পেয়ে মার্কেট বিমুখ হন স্থানীয়রা। ফলে, ক্ষতির মুখে পড়েন কোটি টাকা বিনিয়োগে সারাবছর ব্যবসার আশায় থাকা ব্যবসায়ীরা। আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে গত ১৬ বছর আওয়ামী সরকারে ভড়করে চলা লোকজন প্রতিবছর মেলার দায়িত্ব পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলেও সেসময়ের সুবিধাভোগীরা এবারও মেলার অনুমতি আদায় করে নিয়েছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।

ট্যুরস অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, অতীতের বাণিজ্য মেলা কক্সবাজারের পর্যটন উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখেনি। পণ্যের গুণগত মান নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠা বাণিজ্য মেলা এবারও কোন বাড়তি সুবিধা আনবে না, বরং উল্টো বদনাম ও আতংক বয়ে আনতে পারে। গত ৫ আগস্টের পর পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার শহরে ছিনতাই ও অপরাধ বেড়েছে। ডিসেম্বরে ভরা পর্যটন মৌসুমে শুরু হতে যাওয়া বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়া লোকজনকে লক্ষ্য করে ছিনতাইয়ের আশংকা রয়েছে। মেলা চালাতে হলে, পুরো শহরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার দরকার।

এদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, মেলার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। দলটির অনেকেই মনে করেন, মেলার নামে পরিকল্পিতভাবে কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেক উদ্যোক্তা ও হোটেল ব্যবসায়ী জানান, মেলার কারণে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। তাদের মতে, এই সময়ে বাণিজ্য মেলা পর্যটন খাতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

তবে, মেলা আয়োজকদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাণিজ্য মেলা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলব। কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, অতীত ইতিহাসে মেলা কেন্দ্রিক কোন অঘটনের উদাহরণ নেই। তাই পর্যটন এলাকা স্বাভাবিক সেটা বুঝাতে এবারও মেলা আয়োজনে কোন সমস্যা দেখছি না।

গত তিনমাসে অসংখ্য ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করে এসপি বলেন, সমস্যা থাকবে আমাদের অভিযানও অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর টিম টহলে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতামতের ভিত্তিতেই কক্সবাজারে মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে পুনরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতামত চাওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট