কক্সবাজার জেলায় সরকারিভাবে ধান -চাল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু
এম কে আলম চৌধুরী
সরকার প্রতি বছর দুইবার ধান ও চালের উপর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে থাকেন। মিল মালিক থেকে চাল ও কৃষক থেকে কেনা হয় ধান। চলতি আমন মৌসুমে সরকার ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। গতবারের তুলনায় কেজিতে তিন টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা, আতপ চাল ৪৬ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকায় সংগ্রহের কথা জানায় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি আমন মৌসুমে ধান, আতপ চাল ও সেদ্ধ চাল মিলে ১৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তার মধ্যে ধান ৫ হাজার ৪৮২ টন, আতপ ৬ হাজার ৭২ টন এবং সেদ্ধ ৩ হাজার ১২ মেট্রিক টন।
জানা যায়, গত রবিবার ( ১৭ নভেম্বর) থেকে আগামী ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেনি জেলা খাদ্য বিভাগ। এদিকে সেদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও মূলত জেলায় মিল রয়েছে একটি। ২০২৩ সালে ৪০০ টন সেদ্ধ চাল কেনা হয়েছিল এবং ২০২৪ সালে লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় সেদ্ধ চাল কেনা সম্ভব হয়নি। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ১২ টন সেদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জেলায় লাইসেন্সধারী ১টি অটোমেটিক আতপ চালকল ও ৭৭টি হাস্কিং চালকল রয়েছে। এখনো কোনো চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়নি।
তথ্য বলছে, আ্যপসের মাধ্যমে কৃষকের টাকা উত্তোলনকে তারা ঝামলা মনে করায় প্রতিবারই ধান সংগ্রহে হোঁচট খেতে হয় খাদ্য বিভাগকে। তেমনি উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় সরকারি গুদামে চাল দিতে আগ্রহী নন মিলের মালিকরা। তবে এবার কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়ানোর কারনে সরকারী গুদামে ধান দেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকরা জানায়, সরকার কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়িয়েছে। এতে করে কৃষকেরা উপকৃত হবেন। কিন্তু আ্যাপসের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন খুবই ঝামেলার। একারনে কৃষকদের অনেকেই ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উচ্চমান সহকারী নির্মল দাশ বলেন, গত ১৭ নভেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৫ মাচ পর্যন্ত। কৃষক ও মিলারদের সাথে কথা চলছে। আশা করি শীগ্রই তারা চুক্তিবদ্ধ হবেন।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ফজল করিম বলেন, চালের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের ভয়ে মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে আগ্রহী হয় না। তবে এবার সরকার চালের দাম বাড়ানোর কারনে হয়তো মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হবেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুর রহমান খান বলেন,
, চলতি আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকার কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়িয়েছে। কৃষকরা এবার ধান বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো কৃষক বা মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়নি। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আমন ধান কাটা মাত্র শুরু হয়েছে। এছাড়া এখনো অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মিল মালিক ও কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।