খুলনায় মুমূর্ষু এক শিশুকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা,
শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু খুলনা
খুলনায় মুমূর্ষু এক শিশুকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ বছরের শিশু আলামিনকে সাহায্য করেন তারা।
দ্য ফিউচার আইডিয়াল মাদার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম কাছ থেকে ব্যক্তিগত অনুদানের ২০ হাজার টাকা শিশুটির বাবার কাছে তার চিকিৎসার জন্য তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. মিরাজ হোসেন, মো. সৈকত ইসলাম ও মো. বোরহান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মো. মেরাজ হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলার সময় আমার এক ছোট ভাই হাসপাতালের মেঝেতে বসে শিশু আলামিনকে কাঁদতে দেখে।
পরে জানতে পারে তার নিউমোনিয়া হয়েছে। যা অনেক গুরুতর পর্যায়ে চলে গেছে।
এছাড়া তার মায়ের টিউমার হয়েছে। চিকিৎসা না করার কারণে তিনিও ভীষণ অসুস্থ।
আলামিনের বাবা মানসিক অসুস্থতার কারণে কিছু দিন আগে পাবনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। আলামিন তাদের একমাত্র সন্তান। শিশুটির পরিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা আমাকে জানায় সেই ছোট ভাই। আমি তাদের সমস্যা জানতে এবং বুঝতে চেষ্টা করি।
তাদের ভরসা প্রদান করি তাদের সার্বিক সহায়তা করতে চেষ্টা করবো। এরপর দ্য ফিউচার আইডিয়াল মাদার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। মানুষের বিপদে পাশে থাকা মো. সাইফুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। তার উপস্থিতিতে আমরা শিশুটির চিকিৎসার জন্য টাকা প্রদান করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, দরিদ্র, অসহায়, অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চেষ্টা করি হাসপাতালের রোগীরা যেন সঠিক চিকিৎসা সেবা পায়। আমাদের ডাকে দ্য ফিউচার আইডিয়াল মাদার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম শিশু আলামিনকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ।
এ সময় দ্য ফিউচার আইডিয়াল মাদার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম শিশু আলামিনের চিকিৎসক খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. শাখরুখ আহমেদের সঙ্গে তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মনুষ্যত্বের দাবি হচ্ছে অসহায়ের বিপদে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো পাশে দাঁড়ানো। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে। একজন মুসলিম হিসেবে শিশুটির পরিবারের করুন অবস্থা যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী ও মো. মিরাজ হোসেন আমাকে জানায় তখন আমি হাসপাতালে ছুটে আসি, সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করি।