আক্তার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
. ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর কোর্ট বিল্ডিং এর উত্তর পাশের রাস্তা ২ নং পুলিশ ফাঁড়ি সামনে ৩রা নভেম্বর ২০২৪ ইং,রবিবার সময় দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিট সময় দস্যুতার শিকার হয় সিরাত।
. সূত্রে জানা যায়,কাজী এ টি এম আমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বুধল ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজী। তাহার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি/আর, ১০৮০/২৪ইং মামলা চলমান। উক্ত মামলায় ৩ই নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখ কাজী আমিনুল জামিন নিতে কোর্টে যায় ।
. কাজী আমিনুল শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন না নিয়ে বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট বিল্ডিং হইতে বাহির হইয়া মোটর সাইকেল যোগে ইরফানুল হক সিরাত কে সাথে নিয়া বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল মৌজে- কাউতলীস্থ কোর্ট বিল্ডিংয়ের বিপরীত দিকে ২নং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর, থানা ও জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছালে, ঘটনার স্থান থেকে থানা পুলিশ আমিনুল কে ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
. ঘটনার স্থানে সিরাত,আমিনুলের মোটর সাইকেল টি,আমিনুলের সঙ্গে থাকা ১টি কালো রংয়ের কাপড়ের ব্যাগ যাহার মধ্যে আমিনুলের একটি বিবাহের ভলিয়ম বই ও নগদ মং- ২,৮৫,০০০ (দুই লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা মোটর সাইকেল এর মূল কাগজপত্র ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডুকুমেন্ট সহ ব্যাগটি (১) সাংবাদিক রনি (২)সাংবাদিক মানিক (৩)আল মাহমুদ ও (৪)আল আমীন সহ যোগসাজসে ছিনাইয়া(দস্যুতা) নিয়ে যায়।
. পুলিশ আমিনুল কে নিয়ে ঘটনার স্থান ত্যাগ করিলে,উল্লেখিত নামে ৪ জন, সিরাত কে চতুর্দিক হইতে ঘেরাও করিয়া ৪ জনের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রাদি দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া সিরাত এর নিকট হইতে, সিরাত কে এলোপাতারী ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া নীলা ফুলা জখম করে।
তারা ৪ জন সিরাত কে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া সিরাতের নিকট থাকা বুধল ইউপি কাজী অফিসের ভলিয়ম বই, মোটরসাইকেল এর মূল কাগজপত্র ও নগদ টাকা ছিনাইয়া(দস্যুতা) নিয়ে যায়।পরে সিরাত ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের সহায়তায় শুধু মাত্র মোটর সাইকেল উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।
. পরবর্তীতে আমিনুল সি.আর- ১০৮০/২৪ইং মামলায় জেল হাজতে থেকে জামিনে বাহির হইয়া ৪ জনের নাম উল্লেখ করে, সদর মডেল থানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬ই নবেম্বর২০২৪ইং ৩৯২ ধারা মামলা নং ১৫ বিচার প্রার্থী হয়ে অভিযোগ দায়র।
. এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ মোজাফফর মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান,সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে সততা নিশ্চিত করা হয়েছে।দুইজন কথিত সাংবাদিক সহ ৪ জন ঘটনা সাথে জড়িত আছে । মামলা তদন্তধীন আছে । আসামি গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ।