বান্দরবানে ফিল্ম স্টাইলী ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কর্তন, ৯৯৯ কল করে নারী পায়নি সাহায্য
বান্দরবান বিশেষ প্রতিনিধি:
ফিল্ম স্টাইলী ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও গাছ কর্তন, সরজমিনে তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়াছে। বান্দরবান সদর থানার সুয়ালক ইউনিয়নের উত্তর সুলতানপুরের অসহায় নারী শাহিদা সুলতানা, পিতা: মোঃ ছিদ্দিক আহম্মেদ, সাং: উত্তর সুলতানপুর, ১নং ওয়ার্ড, সুয়ালক ইউনিয়ন, বান্দরবান সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
অভিযুক্ত তথা বিবাদীগন মো: সিকদার গং- সর্ব সাং: উত্তর সুলতানপুর,১নং ওয়ার্ড, সুয়ালক ইউনিয়ন, বান্দরবান সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। বিবাদী গং-সহ অজ্ঞাত আরো ৬-৭জন ভাড়টে লোক শাহিদা সুলতানার ঘর ভাংচুর ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। সূত্রে জানা যায়, বাদীপক্ষের ভোগদলীয় নিম্ন তপশীল বর্নিত বসত বাড়ীর সম্পত্তি লইয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে, উক্ত সম্পত্তি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে বাদীপক্ষ। কিন্তু বিবাদীগণ কিছুদিন ধরে বাদীপক্ষের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করে আসছে। তারই পেক্ষিতে বিবাদীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বান্দরবানে মামলা চলমান রহিয়াছে।
গরীব অসহায় নারী শাহিদা প্রতিবেদককে আরো জানান, গত ২০/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় আমি সন্তানদের নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘরের উঠানে বিবাদীগণের গালির শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি তারা সমন্বরে আমার স্বামীর নাম ধরে অশ্রাব্য ভাষায় ঘর হতে বের হতে বলে এবং ঘরের ঘেরা-বেড়া ও ফল-ফলাদির গাছ কেটে নষ্ট করতে থাকে। আমার ঘর হতে বের না হওয়ার ফলে আমার ভাশুর মো: সেহান এর ঘরের বিদ্যুৎতের লাইন কেটে দেয় এবং শাবল দিয়ে ঘরের দরজা, জানালা ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে ও সকলকে ঘর হতে বের বলে। বিবাদীগণের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্বের একটি মামলা চলমান রয়েছে।
উক্ত মামলার জের ধরে অতীতেও অনেকবার মামলা করেছে। তাদের হুমকি ধামকি দেখে অরে আগুন দিতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করে ঐ রাতেই ৯৯৯ ফোন করে সাহায্যে চাইলে থানা কোন প্রকার সাহায্য করেননি। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জান-মালের সমূহ ক্ষতি সাধনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাদীগণ উক্ত আদালতের আদেশ অমান্য করে বাদীগণের সেগুনবাগানের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে ও ১০-১৫ সেগুন গাছ’সহ বসত ঘরের সাথে থাকা সুপারী গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে, ঘর ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। যাহার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০০০০০/- কথায় ( এক লক্ষ টাকা )। বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে বিবাদী আমারকে মারপিট করতে উদ্দ্যত হয়। জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানা অফিসার ইনচার্জ জানান,থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে অসহায় বাদীপক্ষ আইন ও বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন,সেনা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মানবাধিকার সংগঠন’সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার আকূতি জানান, বৈষম্যহীন নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে মানুষ আইনের প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হবে।