মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার:
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১১ টায় আস্থা লাইফ ইনসুরেন্স কোঃ লিঃ (আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট) কক্সবাজার জেলা শাখার (জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন) এরিয়া ইনচার্জ ও ব্রান্স ম্যানেজার জনাব, মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে ব্যবসায়িক সংক্রান্ত মিটিং এর আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে মিটিং শুরু করা হয়।
আস্হা লাইফ ইনসুরেন্সের ব্যবসায়িক সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত মিটিং এ বক্তব্য রাখেন আস্থা লাইফ ইনসুরেন্স কোঃ লিঃ (আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট) কক্সবাজার জেলা শাখার এরিয়া ইনচার্জ ও ব্রান্স ম্যানেজার জনাব, মোঃ মিজানুর রহমান, ইউনিট ম্যানেজারগন আসমাউল হোসনা, মাহবুবুল হক, অং থোয়াইনু মারমা (বান্দরবান পার্বত্য জেলা ব্রান্স) এবং এফ এ (ফাইন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট) গন ডাঃ প্রসেনজিত চক্রবর্তী অর্নব, এমবিবিএস (সিইউ), পিজিটি (মেডিসিন) সিসিডি (বারডেম), এমআরসিপি (সি, লন্ডন) সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কক্সবাজার (সাবেক মেডিকেল অফিসার, কক্সবাজার পৌরসভা), মোহাম্মদ মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ নাসির উদ্দীন, হাফেজ আবু বকর, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ আনিসুল হক ফরাজী, আমেনা বেগম, মায়মুনা আকতার, মাটিন এ, আনেয়ার হোসাইন, মোঃ হাবিব হোসেন, জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মিঠিং এ কক্সবাজার জেলা শাখার এরিয়া ইনচার্জ ও ব্রান্স ম্যানেজার েজনাব, মোঃ মিজানুর রহমান, ইউনিট ম্যানেজার আসমাউল হোসনা, মাহবুবুল হক, অং থোয়াইনু মারমা (বান্দরবান পার্বত্য জেলা ব্রান্স) এবং এফ এ (ফাইন্যান্সিয়াল এসোসিয়েট) গন ডাঃ প্রসেনজিত চক্রবর্তী অর্নব, মোহাম্মদ মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আস্হা লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানির ব্যবসায়িক সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনাসহ পাশাপাশি অন্যান্য এফএ’গণও বক্তব্য প্রদানকালে তারা বলেন নিজেদের অধিকার আদায় ও শোষণ মুক্ত আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জনগণকে সাথে নিয়ে হাতে হাত ও কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমনি পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ও দেশ স্বাধীন করে দেশ ও জাতিকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করেছিলেন। ঠিক তেমনি জুলাই ও আগষ্ট ২০২৪ মাসেও মুক্তি যোদ্ধা কোঠা বাতিলের স্বপক্ষে ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশজুড়ে যখন ছাত্র আন্দোলন চলছিল তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত প্রান হিসেবে উহার সমর্থন করে ও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আজ তা েদেশবাসীর কাছে ও সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুনামসহ প্রসংশার জোয়ারে ভাসছেন ও আস্হা অর্জন করেছেন বলে স্বপক্ষে মত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ টির মতো ইন্সুইরেন্স কোম্পানী রয়েছে, তার মধ্যে অনেক ইন্সুইরেন্স কোম্পানী দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং গরীব, দুঃখী, মেহনতী মানুষের রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, তাদের কষ্টে অর্জিত অর্থ নিজ ও পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য বড় আশা, স্বপ্ন নিয়ে বিভিন্ন ইনসুরেন্স কোম্পানিতে জমা রেখেছিলেন যা আজ তারা লুটপাট করে নিয়ে গেছেন। কিছু ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গ্রাহকদের পলিসি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কয়েক বছর অতিবাহিত হতে চলছে কিন্তু গ্রাহক তাদের জমানো মূলধনসহ টাকা অদ্যাবধি পাননি, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘুরাচ্ছেন বলেও অনেক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। যার কারনে গ্রাহক, জনগন ইন্সুইরেন্সের কথা শুনতেই শুরুতে না বলেন ও বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেন। সব ইন্সুইরেন্স কোম্পানী খারাপ না। বাংলাদেশে বিদেশীসহ অনেক ভালো ইন্সুইরেন্স কোম্পানী রয়েছে, কিন্তু কিছু কিছু অসাধু, দূর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর কারণে ভালো ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুলোর প্রতি আজ মানুষের খারাপ ধারণা জন্মানোসহ বদনাম হচ্ছে ও মানুষের মনে উহার প্রতি অনিহা এবং আস্হা উঠে গেছে বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের মাঝে আস্হা ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতসহ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান আস্হা লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি (আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট) গঠন, প্রতিষ্ঠার জন্য চিন্তা ভাবনা করে মানব সেবার গুরুদায়িত্ব হাতে নেন। গত ০৯ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে সরকার কতৃক উহা প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেন। যদিও ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আস্হা লাইফ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের নিবন্ধন লাভ করলেও কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখ থেকে আস্হা লাইফ এর প্রকৃত ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়। ধীরে ধীরে মানুষের মনে উহার প্রতি আস্হা ফিরিয়ে আনতে ও অর্জনে সক্ষম হন এবং বাংলাদেশ আজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, অনেক উন্নতি সাধনসহ সুনাম অর্জন করে আসছেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবিহিনীর আস্হা লাইফ ইনসুরেন্স অন্যান্য ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুলোকে টপকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে যাবেন বলে বক্তবাগন আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আস্হা লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি (আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট) কারো, কোনো ব্যক্তি মালিকানা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নয়, এটা বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও জনগনের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আস্হা লাইফ ইনসুরেন্সের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সব জেলায় প্রতিষ্ঠিত হবে এবং উপজেলায়ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ।
এ সংস্থায় সুশিক্ষিত ও দক্ষ (সামরিক ও বেসামারিকের সমন্বয়ে) অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ও অন্যান্য সংস্হার প্রশাসন সদস্য, ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যাংক, বীমা, কলেজ ও ভার্সিটিতে অধ্যায়রত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি এ সংস্থায় কাজ করার জীবিকা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন এবং নিরলসভাবে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। গ্রাহক তার গ্রহনকৃত পলিসির টাকা ব্যাংক ইএফটি, বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে জমা করবেন ও টাকা জমার স্বপক্ষে সাথে সাথে মোবাইলে ম্যাসেজ পাবেন ও নিশ্চিতও হবেন।
আস্হা লাইফ ইনসুরেন্সের বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে ও পাশাপাশি বহুমাত্রিক সুরক্ষা ও স্মার্ট উইমেন (গুরুতর ব্যাধির) চিকিৎসা সেবার ব্যবস্হাও রয়েছে।
সেনাবাহিনীর আস্হা লাইফ ইনসুরেন্সের কোম্পানি (আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট) এর সংস্থাটি সুদক্ষ চারটি বোর্ড ও কমিটির মাধ্যমে পরিলচালিত যেমনঃ ১। পরিচালক বোর্ড (হাজির চাকরী অনুযায়ীঃ মাননীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রাধান মহোদয়, চেয়ারম্যান, এজি মহোদয়, ভাইস চেয়ারম্যান ও অন্যান্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষহ মোট দশ জন),
২। ম্যানেজমেন্ট কমিটি (একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহোদয়, সামরিক ও বেসামরিক উর্ধতন কর্মকর্তাসহ মোট নয়জন), ৩। এফিলিয়েটস (রিইনসুরার- ট্রাস্ট রি (বাহরাইন), এ্যাকসুয়ারিয়াল কনসালট্যান্ট, ফিন্যান্সিয়াল কনসালট্যান্ট ও আইটি কনসালট্যান্ট মোট চারজন) এবং
৪৷ শরিয়া হ বোর্ড ( প্রফেসর মৌলানা ডক্টর মোঃ শহিদুল ইসলাম বারাকাতী, চেয়ারম্যানসহ দুই জন অন্যান্য মৌলানা, চারজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহোদয় ও একজন বেসামরিক কর্মকর্তাসহ মোট আটজন)