স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাদে জুমা আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের সামনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
হাজারী গলিতে সম্প্রতি দোকানির ওপর হামলা, ভাংচুর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অ্যাসিড সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ সমাবেশ ডাকা হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মোমিন রোড, চেরাগি মোড় হয়ে জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এতে হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।
মিছিল ও সমাবেশে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘ইসকনের দালালেরা হুঁশিয়ারি সাবধান’, ‘আমার সোনার বাংলায়-ইসকনদের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা-ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ারি সাবধান’, ‘খুনি হাসিনার দালালেরা হুঁশিয়ারি সাবধান’, ‘হেফাজতের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিয়েছিতো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘পুলিশের ওপর হামলা কেন জবাব চাই দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল আন্দরকিল্লা, চেরাগি, জামালখানসহ পুরো এলাকায়।
হেফাজতের মহানগর নেতা মাওলানা শিবলী নোমানী বলেন, হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন।
ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই আমরা।
মাওলানা শহীদ বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। হেফাজতে ইসলাম হেফাজতে ইনসান। হেফাজতে ইসলাম সুশৃঙ্খল একটি সংগঠন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে আপনারা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমাদের মেহমান। আপনাদেরকে নিরাপত্তা আমরা দেব। সুন্দর একটা পরিবেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন না। মুসলমান ভাইদের নিরাপত্তার জন্য আমরা হেফাজতে ইসলাম মুরব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
হেফাজত ইসলাম চট্টগ্রামের নেতা আনোয়ারুল রব্বানি বলেন, এই ইসকনকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
মাওলানা সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের মুসলমান ভাইদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসকনের দালালেরা। এর প্রতিবাদের আমরা আজ এক হয়েছি। আমরা শাপলা চত্ত্বরে রক্ত দিয়েছি, পাঁচই আগস্ট রক্ত দিয়েছি। ইসকনকে হঠানোর জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।
বক্তব্য দেন সংগঠনের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম কাশেমী, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান প্রমুখ